ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘হুজুরের বিচার করতে পারবো না, বিচারের ভার আল্লাহর কাছে দিলাম’

কালিগঞ্জ (গাজীপুর) সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৩৬, ৪ মার্চ ২০২১   আপডেট: ১৭:৩৭, ৪ মার্চ ২০২১
‘হুজুরের বিচার করতে পারবো না, বিচারের ভার আল্লাহর কাছে দিলাম’

ইয়াসিন, বয়স মাত্র সাত। সন্তানকে শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে বাবা-মা তাকে শ্রীপুর দাদির কাছে পাঠিয়ে দেন। দাদি তাকে ভর্তি করে দেন মাদ্রাসায়। 

সম্প্রতি মাদ্রাসায় হুজুরের চাহিদামতো পড়া দিতে পারছিল না ইয়াসিন। এ কারণে ইয়াসিনকে নির্মমভাবে কয়েকদফা মারধর করেন হুজুর। এক পর্যায়ে হুজুরের অমানবিক আচরণ সহ্য করতে না পেরে বুধবার (৩ মার্চ) সকালে ইয়াসিন মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে দাদির বাড়ি চলে আসে। 

গাজীপুরের শ্রীপুর পৌর এলাকার কেওয়া পূর্বখণ্ড এলাকার মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ইয়াসিন। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার কান্দিপাড়া গ্রামে। বাবা মফিজুল ইসলাম নিজ এলাকায় মুদি দোকানি। মা গৃহিণী।

এক বছর আগে ইয়াসিনকে হাফেজ হিসেবে গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ওই মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র হিসেবে ভর্তি করা হয়েছিল জানিয়ে বাবা মফিজুল হক বলেন, ‘হজুর ক্ষমা চেয়েছে। স্থানীয়রাও আমাদের বুঝিয়ে বলেছে। তাই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি চলে যাচ্ছি।’ ইয়াসিনের মা শারমিন আক্তার বলেন, ‘এভাবে কোনো মানুষ কোনো পশুকেও মারতে পারে না। সন্তানকে লেখাপড়া করানোর জন্য এখানে দিয়েছিলাম। কিন্তু তা আর হলো না। হুজুরের বিচার তো, আমরা করতে পারবো না, তাই এর বিচারের ভার আল্লাহর কাছেই দিলাম।’

অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ আলী ওই মাদ্রাসার মুহতামিম। শ্রীপুরের কেওয়া পূর্বখণ্ড গ্রামে ভাইয়ের সঙ্গে তিনি মাদরাসাটি গড়ে তোলেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘সে পড়া দিচ্ছিল না, তাই তাকে মেরেছি। কিন্তু বিষয়টা এত বড় হয়ে যাবে বুঝতে পারিনি।’

রফিক/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়