ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নানা সংকটে ময়মনসিংহে দুদকের কাজে গতি নেই 

মাহমুদুল হাসান মিলন, ময়মনসিংহ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:১২, ৫ মার্চ ২০২১   আপডেট: ১০:৫১, ৫ মার্চ ২০২১
নানা সংকটে ময়মনসিংহে দুদকের কাজে গতি নেই 

জনবল সংকটে পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ময়মনসিংহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে এখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। 

২০০৭ সালে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলা নিয়ে গঠিত হয় দুর্নীতি দমন কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ময়মনসিংহ।  

এখানকার উপপরিচালক মো. ফারুক আহমেদ জানান, এই তিন জেলার ৩৬ উপজেলার বিভিন্ন অভিযোগ ও মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তিনিসহ কর্মকর্তার সংখ্যা মাত্র পাঁচজন। এরমধ্যে দুইজন অসুস্থতার কারণে অনুসন্ধানমূলক কাজে অংশ নিতে পারছেন না।  

উপপরিচালক বলেন, শুধু জনবল সংকট না। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে তদন্ত গতিশীল করতে এখানে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেই। রয়েছে একটি মাত্র গাড়ি। এমন নানা সংকটে তদন্ত কাজ ব্যাহত হচ্ছে। 

মো. ফারুক আহমেদ আরও বলেন, ‘এই অঞ্চলে বছরে ১ হাজার থেকে ১২শত অভিযোগ পাওয়া যায়। এরমধ্যে কমিশন যাচাই-বাছাই করে ৭০-৮০টি অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দেয়। বর্তমানে আমাদের অনুসন্ধানমূলক অভিযোগ রয়েছে ৯৬টি। তদন্তাধীন মামলা রয়েছে ৩৪টি এবং বিচারাধীন মামলা রয়েছে ১০৪টি।’  

মযমনসিংহ জেলা কার্যালয়ের দুদকের সহকারী পরিচালক সাধন সুত্রধর জানান দায়িত্ব পালনে নানা প্রতিবন্ধকতার কথা। তিনি বলেন, ‘তদন্ত কর্মকর্তার সংখ্যা কম থাকায় আমাদের ওপর কাজের চাপ বেড়ে যায়। নেই কোনো রাইটার। মামলা তদন্ত থেকে শুরু করে সবকিছু নিজের করতে হয়। রয়েছে আইনি সীমাবদ্ধতা। কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় না। কিন্তু এমনও কিছু কার্যক্রম থাকে, যেখানে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার করতে হয়।’ লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকায় অনেকক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে জানান তিনি। 

ময়মনসিংহ জেলা সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি মীর গোলাম মোস্তফা বলেন, দেশে দিনে দিনে দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। দুর্নীতি প্রতিরোধ করতে দুদককে আরও শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে। ময়মনসিংহে দুদকের কর্মকর্তার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি সার্বিক সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর দাবি করেন তিনি।

ময়মনসিংহ জনউদ্যোগের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু বলেন, দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত সবার ক্ষেত্রে দুদক সমানভাবে সক্রিয় হয় না। তাদের কর্মকাণ্ডে একধরনের বাছাই করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। 

স্বাধীনভাবে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় সব চাহিদা পূরণ করে দুদকের দৃশ্যমান কার্যকরি পদক্ষেপ প্রতিষ্ঠার দাবি জানান তিনি। 

ময়মনসিংহ বিভাগীয় পরিচালক কামরুল আহসানের কাছে দুদকের নানা সংকট ও প্রতিবন্ধকতার কথা জানতে চাইলে তিনি কমিশনের অনুমতি ছাড়া কিছু বলতে রাজি হননি। 

ঢাকা/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়