হবিগঞ্জে ১৪ মাসে ১৯ অভিযোগ, মামলা ৬
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
দুদক কার্যালয়, হবিগঞ্জ (ছবি: রাইজিংবিডি)
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) হবিগঞ্জ জেলা কার্যালয় ১৪ মাসে ১৯টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২০২০ সালের শুরু থেকে এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত (১৪ মাস) এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করে ৬টি মামলা করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, একশ্রেণির লোকজন অনেক সময় দুদকে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। অনেকে আবার সত্য অভিযোগ দায়ের করেন। এখানে মিথ্যা অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে অনেকটা সময় ব্যয় করতে হয় দুদক কর্মকর্তাদের। এছাড়া সঠিক অভিযোগ করলেও প্রমাণের অভাব থাকে। এ কারণে অনেক সময় দুদকের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।
দুদক সূত্র জানায়, একেকটি মামলা তদন্ত করতে প্রায় ৬ মাস সময় পান দুদক কর্মকর্তারা। এ সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট অভিযোগের প্রয়োজনীয় সঠিক তথ্য না পেয়ে মামলা তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করা সম্ভব হয় না। দুদকের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তৃণমূল থেকে আসা অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে।
হবিগঞ্জ দুদকের উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান বলেন, তৃণমূল থেকে অভিযোগ দেওয়া হয়। এসব অভিযোগের সত্যতা পেলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে দুদকের পক্ষ থেকে মামলা করা হচ্ছে। এখানে কাউকে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।
হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজে সাড়ে ১৫ কোটি টাকার কেনাকাটায় দুর্নীতির তদন্ত করেছে দুদক। ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর কলেজের জিনিসপত্র খতিয়ে দেখে দুদক কর্মকর্তারা। বিভিন্ন মালামালের ছবি উঠিয়ে নেন দুদক কর্মকর্তারা। এ সময় টেন্ডারের বেশকিছু দলিল জব্দ করেন তারা।
এর আগে দুদকের ১০৬ হটলাইনে এ বিষয়ে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর এগুলো আমলে নিয়ে প্রধান কার্যালয় থেকে হবিগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনকে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতেই অভিযান চালায় দুদকের একটি দল।
২০১৯ সালের ২৬ মে সদর হাসপাতালে অবস্থান নেয় দুদক হবিগঞ্জ কার্যালয়ের তিন সদস্যের একটি দল। এ সময় দুদক কর্মকর্তারা হাসপাতালে কোনো ডাক্তারকে পাননি। তারা দেখেন, সেখানে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। এরপর সেখানে ঘণ্টাখানেক অবস্থান করার পর কোনো ডাক্তারের দেখা না পেয়ে ফিরে যান দুদক কর্মকর্তারা। কিছুক্ষণ পর নিজেদের পোশাক পরে আবারও দুদক কর্মকর্তারা সদর হাসপাতালে অভিযান চালান। এ সময়ও জরুরি বিভাগে কোনো ডাক্তার ছিলেন না।
জরুরি বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান, ডাক্তার তার নিজ রুমে অবস্থান করছেন। পরে সেখানে গিয়ে শুধু ডা. মিঠুন রায়কে পান দুদক কর্মকর্তারা।
২০১৯ সালের ৯ এপ্রিল বিকালে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থিত বিআরটিএ কার্যালয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াছিন আরাফাত ও হবিগঞ্জ দুদকের কর্মকর্তা অসীম কুমার সাহার নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়াছিন আরাফাত বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে হবিগঞ্জ বিআরটিএর কার্যালয়ে দালালদের দৌরাত্ম্য বাড়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। এ প্রেক্ষিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় জসিম উদ্দিন নামে এক দালালকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন।
মামুন চৌধুরী/সাইফ
আরো পড়ুন