প্রেম করে বিয়ে, ৪ মাসের মাথায় লাশ হলেন দুলালী
বগুড়া প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
প্রেম করে বিয়ের মাত্র চার মাসের মাথায় লাশ হতে হলো দুলালী খাতুনকে।
রোববার দুপুরে দুলালীর প্রেমিক স্বামী মজনু ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তার লাশ বগুড়ার ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফেলে পালিয়ে গেছে।
সোমবার (৮ মার্চ) সকালে দুলালীর গলায় ফঁসের চিহ্ন রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা।
দুলালী খাতুন ধুনট পৌর এলাকার চরপাড়া গ্রামের চান্দু ফকিরের মেয়ে। তার স্বামী মজনু মিয়া উপজেলার বেলকুচি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, মজনু ও দুলালীর মাঝে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে মজনু পারিবারের সম্মতি ছাড়াই চার মাস আগে দুলালীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে বিভিন্ন কারণে ঝামেলা লেগেই থাকতো। সবশেষে রোববার সকালে নিজ ঘরের তীরের সঙ্গে দুলালীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পাওয়া যায়। পরে মজনুসহ তার স্বজনরা দুলালীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এর পরপরই মজনু ও মজনুর পরিবারের লোকজন হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে দুলালীর স্বজনরা হাসপাতালে আসেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আশরাফুল কবীর জানান, দুলালীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। মরদেহের গলায় ফাঁস লাগানোর আলামত পাওয়া গেছে।
দুলালীর ভাই ফজলুল হক বলেন, ‘খবর পেয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসেছি। দুলালীর মৃত্যুর কারণ এখন বলতে পারছি না। তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।’
ওসি কৃপা সিন্ধু বালা আরও জানান, কিভাবে মৃত্যু হয়েছে এখনও বলা যাচ্ছে না। তবে গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।
এনাম/বুলাকী
আরো পড়ুন