উপহারের ঘর নির্মাণে বাঁধা: বৃদ্ধাকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে পরিবার
নীলফামারী সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম
নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া উপহারের ঘর নির্মাণের বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুর থেকে ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। এতে ১১৮ বছরের অসুস্থ বৃদ্ধা মাসহ খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছে একটি পরিবার।
ভূক্তভোগী রুহুল আমীন অভিযোগ করে বলেন, ‘‘গত ৪০ বছর ধরে আমরা মির্জাগঞ্জ স্টেশন বাজারের পাশে অন্যের জমিতে বাসবাস করে আসছি। দিনমজুরীসহ স্থানীয় একটি মসজিদে মোয়াজ্জেম হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা যেখোনে বসবাস করে আসীছ গত তিন মার্চ সে জায়গাটি মালিক মির্জাগঞ্জ এলাকার নজরুল ইসলাম ও আব্দুল খালেক আমাদের দুই শতক জমি রেজিস্ট্রির মাধ্যমে দান করেন। দানকৃত ওই জমিটিতে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে পাকা ঘর বরাদ্ধ পাই। আগের জরাজীর্ণ ঘরটি ভেঙে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকা ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হয়।
‘কিন্তু দানকারীদের অপর দুই ভাই মো. আব্বাস আলী (৫৬) ও রফিকুল ইসলাম (৪৯) ঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। এ বিষয়ে আমি ডোমার থানায় গত শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে একটি অভিযোগ করি। সন্ধ্যায় পুলিশ গিয়ে সবার সঙ্গে কথা বলে ঘর নির্মাণের কথা বলে আসে। কিন্তু রোববার (১৪ মার্চ) সকালে শ্রমিকরা ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করলে আবার তারা বাধা দেয়। ঝড়বৃষ্টির এ সময়ে আমার ১১৮ বছরের অসুস্থ বৃদ্ধা মাকে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছি।”
জমি দানকারী আব্দুল খালেক বলেন, ‘আমাদের জমিতে গত ৪০ বছর ধরে রুহুল আমীনরা বসবাস করে আসছে। আমি ও আমার ভাই নজরুল আমাদের দুই শতক জমি তাদের দান করি। সেখানে তারা সরকারী ঘরের বরাদ্ধ পায়। পাশেরই আমার অন্যান্য ভাইদের জমি রয়েছে। তাই ওই জমিতে সরকারী ঘর নির্মাণে বাধা দেওয়ার কোনো কারণ দেখি না।’
অভিযুক্ত আব্বাস আলী বলেন, ‘আমাদের পৈত্রিক জমির সঠিক পরিমাপ করে তারপর তাদের ঘর নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। সেখানে ঘর নির্মাণে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি।’
উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মোহাইমিনুল হক জানান, তাদের জমি নিয়ে কিছুটা ঝামেলা রয়েছে। সোমবার (১৫ মার্চ) থেকে ঘর নির্মাণের কাজ শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিনা শবনম জানান, বিষয়টির সমাধানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
সিথুন/সনি
আরো পড়ুন