চাটমোহরে আগুনে নিঃস্ব ১২ পরিবার

পাবনার চাটমোহরে আগুন লেগে ৩৭টি ঘর পুড়ে গেছে। এতে ১২টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। পরিবারগুলো বর্তমানে খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছে। 

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) দুপুর ২টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তবে দমকল বাহিনীর দেওয়া তথ্য মতে, ২১টি ঘর পুড়ে আট লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, দুপুরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আওয়াল প্রামানিকের বসতঘরে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন দ্রুত আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর সহায়তায় প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ততক্ষণে বসতঘর, রান্নাঘর ও গোয়াল ঘর মিলিয়ে ৩৭টি ঘর পুড়ে যায়। 

আগুনে ঘরসহ ঘরের ভেতরে থাকা নগদ টাকা, ফসলাদি, মোটরসাইকেল, আসবাবপত্র, পোশাকসহ সবকিছু পুড়ে গেছে। তাদের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় অর্ধকোটি টাকা বলে জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের ৫নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আফসার আলী জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে পাট ব্যবসায়ী নান্টু প্রামানিকের তিনটি ঘর, একটি মোটরসাইকেল, নগদ তিন লাখ টাকাসহ আসবাবপত্র, আয়নাল প্রামানিকের একটি ঘর, শাহেদ আলীর তিনটি ঘর, জায়দুল ইসলামের তিনটি ঘর, জাকিরুল ইসলামের তিনটি ঘর, আফজাল হোসেনের দুটি ঘর, আফান আলীর চারটি ঘর, আব্দুর রশিদের পাঁচটি ঘর, জয়নাল আবেদীনের ছয়টি ঘর, বাকিবিল্লাহর তিনটি ঘর, বাবুল হোসেন ওরফে বাবু মিয়ার দুটি ঘর এবং আব্দুল লতিফের দুটি ঘর পুড়ে গেছে।

চাটমোহর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মইনুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। আয়নালের বাড়িতে বৈদ্যুতিক শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে এই কর্মকর্তা জানান, আগুনে ১৬টি বসতঘর, চারটি রান্নাঘর, একটি গোয়াল ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। এতে আনুমানিক আট লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সৈকত ইসলাম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে তাদের সহযোগিতার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান ও পাবনা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আব্দুল হামিদ মাস্টার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর থাকার জন্য তাবু দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। এছাড়া প্রতিটি পরিবারকে সহযোগিতার কথা বলেছেন।