শাল্লায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে নোয়াগাঁও গ্রামে ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা তুলে দেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ৯০টি পরিবারের মধ্যে নগদ পাঁচ লাখ টাকা ও ৫০টি পরিবারকে এক বান্ডিল ঢেউটিন এবং তিন হাজার টাকা করে মোট এক লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান, শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল-মুক্তাদির হোসেন, হবিবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুলসহ জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুল হককে নিয়ে কটূক্তি করেছিলেন স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের গোপেন্দ্র দাসের ছেলে ঝুটন দাস আপন।
বিষয়টি স্থানীয়ভাবে ভাইরাল হলে পুলিশ জনতার সহযোগিতায় মঙ্গলবার (১৬ মার্চ) রাতেই শাসখাই বাজার থেকে তাকে আটক করা হয়। বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) পৃথক দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী শাল্লা থানার এসআই আব্দুল করিম। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা দেড় সহস্রাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়। অন্য মামলার বাদী স্থানীয় হবিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল। এ মামলায় ৮০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার পর বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) গভীর রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করে শাল্লা থানা পুলিশ। এরপর শুক্রবার (১৯ মার্চ) গভীর রাতে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানা এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকা শহিদুল ইসলাম ওরফে স্বাধীন মেম্বারকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
রোববার (২১ মার্চ) বিকালে সিনিয়র চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শ্যাম কান্ত সিনহার আদালতে ৩৩ জনকে হাজির করে স্বাধীন মেম্বারকে ১০ দিনের রিমান্ড ও ২৯ জনকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক স্বাধীন মেম্বারকে পাঁচ দিন ও বাকি ২৯ জনকে দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এপর্যন্ত মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ইসলাম ওরফে স্বাধীন মেম্বারসহ ৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আল আমিন/সনি
আরো পড়ুন