২৫০ শয্যার হাসপাতালে ১০০ শয্যাই বন্ধ
মঈনুদ্দীন তালুকদার হিমেল || রাইজিংবিডি.কম
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালটি ২৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও ১০০টি শয্যা বন্ধ রাখা হয়েছে। এ কারণে ১৫০ শয্যায় দ্বিগুণেরও বেশি রোগী চিকিৎসা নিতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
১৯৮৭ সালে ৫০ শয্যা নিয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের যাত্রা শুরু হয়। ১৯৯৭ সালের জুলাইয়ে এটি ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। আর ২০২০ সালের মার্চে ১০০ শয্যার ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নতুন ১৫০ শয্যার সাত তলা ভবন উদ্বোধন করে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়।
এরপর থেকেই শয্যা সঙ্কট নিরসন হবে বলে আশায় বুকবাঁধে ঠাকুরগাঁওবাসী। তবে নতুন ভবনে চিকিৎসা সেবা শুরু হলেও অজানা কারণে বন্ধ রাখা হয় পুরাতন ১০০ শয্যায় চিকিৎসা সেবা। তাই বাড়তি শুধু ৫০ শয্যা বৃদ্ধিতে শয্যাসংকট নিরসনে তেমন প্রভাব পড়েনি।
রোগী ও তাদের স্বজনরা বলেছেন, বেড না পেয়ে করিডোর, বারান্দা, মেঝে ও সিড়ির ফাঁকে গাদাগাদি করে চিকিৎসা নিতে হয় তাদের। পুরাতন ভবনটি খোলা থাকলে ভোগান্তি কিছুটা কম হতো।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় চার শতাধিক রোগী ভর্তি থাকে। এর মধ্যে ১৮ শয্যার শিশু ওয়ার্ডেই ভর্তি রয়েছে ১৭০/১৮০ জন শিশু রোগী। নতুন ভবনে স্থান সংকুলান হওয়ায় এক বেডে একাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। অনেকে বেড না পেয়ে বারান্দার মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে।
চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজন রেজাউল বলেন, ‘তিন দিন হলো আমি মায়ের চিকিৎসার জন্য এখানে এসেছি। এখনও বেড জোটেনি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, কর্তৃপক্ষ অফিসিয়ালি ২৫০ শয্যা খোলা থাকার কথা জানালেও পুরাতন ভবন বন্ধ রেখেছে। তেমন কোনো মেরামতের প্রয়োজন নেই তবুও সেই অজুহাত দিচ্ছে। তাদের এক প্রকার অলসতা ও অবহেলায় এক বছর থেকে পড়ে আছে ভবনটি।
পুরাতন ভবনের ১০০ শয্যা বন্ধ রাখার কারণ জানতে চাইলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. নাদিরুল আজিজ চপল জানান, ২৫০ শয্যাই খোলা রয়েছে। মেরামতের কিছু কাজ করার প্রয়োজন। তাই পুরাতন ভবনটি কিছুদিনের জন্যে বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পুরাতন ভবনের ১০০ শয্যায় শিশু, গাইনি ও আইসোলুশনের ব্যবস্থা করা হবে। আশা করি কিছুদিনের মধ্যেই সেখানে রোগী থাকার উপযোগী হবে।’
ঠাকুরগাঁও/সনি
আরো পড়ুন