নগদ এজেন্টের ‘কোটি টাকা’ আত্মসাৎ: কক্সবাজারে গ্রেপ্তার ৩

টাঙ্গাইল থেকে নগদ এজেন্টের ‘কোটি টাকা’ আত্মসাৎ করে পালিয়ে কক্সবাজারে আত্মগোপনকারী তিন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

বুধবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার আবাসিক হোটেল সেন্টমার্টিন রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

ডিবি পুলিশের ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী এ তথ‌্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার তিন জন হলো, টাঙ্গাইলের মধুপুর থানার দরিহাসিল এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে শামীম হোসেন (২৪), একই থানার ব্রাহ্মণবাড়ী এলাকার আনিসুল হকের ছেলে মো. আতিকুর রহমান (২৪) ও তবানিটেকি এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে নুরুল ইসলাম বাবুল (২৫)।

তারা সবাই টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার মা এন্টারপ্রাইজ নামের প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। এদের মধ্যে শামীম প্রতিষ্ঠানটির সুপারভাইজার, আতিকুর রহমান বিক্রয় প্রতিনিধি ও নুরুল ইসলাম বাবুল অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিল।

ওসি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলা সদরের নগদ এজেন্টের মা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের তিন কর্মচারী গত ৩ এপ্রিল ‘নগদ ও ট্রানজেকসন’ এর মাধ্যমে ৯৮ লাখ টাকার বেশি আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। পরে প্রতিষ্ঠানটির মালিক কর্তৃপক্ষ তাদের নানা জায়গায় খোঁজ-খবর নেন। কিন্তু কোনো সন্ধান পাননি। মা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মহিউদ্দন সুমন বাদী হয়ে গত ৪ এপ্রিল ঘাটাইল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।’ 

ওসি বলেন, ‘ডিবি পুলিশ টাকা আত্মসাৎকারীদের অবস্থান নিশ্চিত করতে কাজ শুরু করে। এক পর্যায়ে বুধবার (৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মোবাইল ট্র‌্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাদের অবস্থান নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়। পরে ডিবি পুলিশের একটি দল কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার সেন্টমার্টিন রিসোর্ট থেকে ওই তিন জনকে গ্রেপ্তার করে।’

মোহাম্মদ আলী জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টাকা আত্মসাৎ করার তথ্য স্বীকার করেছে তারা।

ঘাটাইলের নগদ এজেন্ট মা এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মহিউদ্দন সুমন মুঠোফোনে বলেন, ‘ঘটনার পরদিন গত ৪ এপ্রিল ঘাটাইল থানায় তিন কর্মচারীর বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি করেছিলাম। বুধবার সন্ধ্যায় অভিযুক্ত তিন জনকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তারের পর ঘাটাইল থানায় মামলা নথিভূক্ত হয়েছে।’

ডিবি ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, বুধবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারদের টাঙ্গাইল নিয়ে যেতে ঘাটাইল থানা পুলিশের একটি দল কক্সবাজারের উদ্দ্যেশে রওনা দিয়েছে। পুলিশের ওই দলটি কক্সবাজার পৌঁছালে গ্রেপ্তারদের হস্তান্তর করা হবে।