কাশিয়ানীর বারুণী স্নানোৎসব ও মেলা হচ্ছে না
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
করোনা পরিস্থিতির কারণে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দির ঠাকুরবাড়ীতে এবারও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সর্ববৃহৎ বারুণী স্নানোৎসব ও মেলা হচ্ছে না । এ বছর ঢাক, ঢোল, ডঙ্কা, কাঁসা ও শিঙার শব্দে মুখরিত হয়ে উঠবে না ঠাকুরবাড়ী।
আগামী ৯ এপ্রিল এ স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। গত ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওড়াকান্দির ঠাকুরবাড়ী ঘুরে যাবার পর থেকে স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার আশায় ছিলেন মতুয়া ভক্তরা। করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতার কারণে এ উৎসব ও মেলা স্থগিত করা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এখানের প্রসিদ্ধ পুরুষ শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১০তম জন্মতিথি উপলক্ষে আগামীকাল ৯ এপ্রিল ওড়াকান্দির ঠাকুর বাড়ীতে তিন দিনব্যাপী বারুণী স্নানোৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। তবে করোনা সংক্রমন ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসন গত বছরের মতো এবারও বন্ধ করে দিলো এ উৎসব।
প্রতিবছর বাংলাদেশসহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, চীন, নেপাল, ইন্দোনেশিয়া, ভুটান, মধ্যপ্রাচ্যসহ লাখ-লাখ পুণ্যার্থীর আগমন ঘটে এ বারুণী স্নানোৎসব ও মেলায়।
ঠাকুর বাড়ীর সদস্য ও মেলা উদযাপন কমিটির সভাপতি শচীপতি ঠাকুর বলেন, করোনা ঠেকাতে এ বছর বারুণী স্নানোৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে না। ফলে মতুয়া সম্প্রদায়ের ভক্তদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা অর্চনা অনুষ্ঠিত হবে।
ঠাকুর বাড়ীর অপর সদস্য ও কাশিয়ানী উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর বলেন, এবছর বারুণী স্নানোৎসব ও মেলা অনুষ্ঠিত হবে না। তবে অনেক ভক্ত প্রতিকূলতা পার হয়েও যদি ঠাকুর বাড়ীতে চলে আসেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তারা স্নান করতে পারেন।
কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রথীন্দ্র নাথ রায় বলেন, দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, এ স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা আয়োজনের জন্য আমাদের কাছে কোন আবেদন করা হয়নি। এ ব্যাপারে ঠাকুরবাড়ী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। করোনার কারণে তারা যদি এ স্নানোৎসব ও বারুণী মেলা বন্ধ রাখেন এটা তাদের বিষয়।
বাদল/টিপু
আরো পড়ুন