ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মিজান হত্যার অভিযোগে আটক ১

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০১, ১১ এপ্রিল ২০২১  
মিজান হত্যার অভিযোগে আটক ১

নিহত মিজান (বামে), আটক মাধব (ডানে)

রাজশাহীতে ছুরিকাঘাতে আনসার বাহিনীর সদস্য মিজানুর রহমান মিজানকে (৩০) হত্যার ঘটনায় তার বন্ধু মাধব কুমারকে (৩৬) আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা থেকে তাকে আটক করে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ।

রোববার (১১ এপ্রিল) সকালে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত মিজানের বাড়ি মহানগরীর হেতেমখাঁ সবজিপাড়া মহল্লায়। বাবার নাম মো. মন্টু। গ্রেপ্তার মাধব কুমারেরও বাড়ি হেতেমখাঁ এলাকায়। তিনি মিজানুরের বন্ধু ছিলেন। এলাকায় সুদ আর মাদকের ব্যবসা করতেন মাধব।

গোলাম রুহুল কুদ্দুস জানান, মিজানের মৃত্যুর পর পালিয়ে যাচ্ছিলেন মাধব। তখন পুঠিয়া থেকে তাকে আটক করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মাধবের বিরুদ্ধেই ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীও আছেন।

শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহানগরীর হেতেমখাঁ এলাকায় ওয়াসার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের ভেতর আনসারদের একটি কোয়ার্টারের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত মিজান আনসার বাহিনীর হ্যান্ডবল দলের খেলোয়াড় ছিলেন। বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসেও তিনি আনসার বাহিনীর দলে ছিলেন। খেলা শেষে ছুটিতে তিনি বাড়ি এসেছিলেন। এসেই হত্যাকাণ্ডের শিকার হলেন।

এলাকাবাসী জানান, হেতেমখাঁ এলাকায় ওয়াসার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পাশে রেজা নামে এক ব্যক্তির একটি দোকান আছে। লকডাউন চলার কারণে মিজান ওই দোকানিকে লাইট বন্ধ করে ব্যবসা করতে বলেন। কিন্তু কেন লাইট বন্ধ করতে হবে এই প্রশ্ন তুলে মিজানের সঙ্গে তর্কে জড়ান মাধব। এ সময় তাদের দুজনের হাতাহাতিও হয়। তখন অন্য বন্ধুরা তাদের থামান। এরপর মিজান প্লান্টের ভেতরের এলাকায় ঢুকে আনসারদের কোয়ার্টারের সামনে সেখানকার সদস্যদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন।

কিছুক্ষণ পর মাধব গিয়ে মিজানকে আচমকা ছুরিকাঘাত করেন। পরে মাধবসহ আরও কয়েকজন তাকে রাজশাহী মেডিক‌্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক মিজানকে মৃত ঘোষণা করেন। এ সময় মাধব পালিয়ে যান। মিজানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়।

বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মাধবের বাড়িতে হামলার প্রস্তুতি নেন। কেউ কেউ গিয়ে বাড়ির গেট ধাক্কাধাক্কি করেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহত মিজানুরের মরদেহ রামেকের মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

রাজশাহী/তানজিমুল/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়