হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ২ সপ্তাহ অফিসে অনুপস্থিত

সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দুই সপ্তাহ ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন। করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ সময়ে তার এমন অনুপস্থিতিতে চিকিৎসাসেবা ও দাপ্তরিক কাজে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ডা. হেলাল উদ্দিন গত ৫ থেকে ৮ এপ্রিল পর্যন্ত চারদিনের ছুটির আবেদন করেন। তবে আবেদন মঞ্জুর হয়নি। এরপরও তিনি দুই সপ্তাহ ধরে কর্মস্থলে আসছেন না।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টা পর্যন্ত তাকে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি। তার অনুপস্থিতিতে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কায়ছার রহমান দায়িত্ব পালন করছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, সর্বাত্মক লকডাউনের আগে দুটি অফিস আদেশ জারি করে সরকার। আদেশে চিকিৎসক ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবশ্যিকভাবে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তত্ত্বাবধায়ক অনুপস্থিত থাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা ও দাপ্তরিক কাজে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।

হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কায়ছার রহমান বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক আমাকে দায়িত্ব পালন করতে বলে গেছেন। দাপ্তরিক যে কাজগুলো আমার পক্ষে করা সম্ভব, আমি সেগুলো করে যাচ্ছি।’ আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. মোমিন উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা না থাকলে সাময়িক সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার থাকে না।’

যোগাযোগ করা হলে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমার স্ত্রী অসুস্থ থাকায় নওগাঁর নিজের বাড়ি এসেছিলাম। এরপর আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত হয়ে যান। আমি নিজেও ঝুঁকিতে ছিলাম। এজন্য আটকা পড়ে গেছি।’