ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

সাড়া জাগিয়েছে পুলিশ কর্মকর্তার সচেতনমূলক গান

সিদ্দিক আলম দয়াল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:০৭, ২০ এপ্রিল ২০২১  
সাড়া জাগিয়েছে পুলিশ কর্মকর্তার সচেতনমূলক গান

বিশ্বব্যাপী করোনার থাবা থেকে মানুষকে বাঁচাতে ও মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে এক ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছেন গাইবান্ধার পুলিশ বাহিনীর কয়েকজন সদস্যসহ এক কর্মকর্তা। 

গানে গানে মানুষকে সচেতন করতে পুলিশের পোশাক পরেই গেয়েছেন সুরেলা কণ্ঠে গান। সেই গান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে।

পুলিশের সেই কর্তাব্যক্তি সাদুল্যাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। পিতা এটি এম মজিবুর রহমান। বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায়। 

ছোট বেলা থেকেই গান বাজনার প্রতি ঝোঁক ছিলো তার। ছাত্রাবস্থায় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গণসংগীত ও ফোক গান গাইতেন মঞ্চে। তখন থেকেই তিনি গান বাজনাকে ধরে রেখেছেন মনে প্রাণে। 

বাংলা সাহিত্যে অনার্স-মাস্টার্স। ২০০৭ সালে পুলিশে যোগদান। প্রশিক্ষণের সময়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে অবসরে মাতিয়ে রাখতেন অন্যদের। সে কারণে গানের মানুষ হিসেবে পুলিশ বিভাগে তার পরিচিতি রয়েছে। 

কীভাবে গানের মাধ্যমে মানুষকে করোনা সম্পর্কে সচেতন করা যায় তা নিয়ে ভাবতেন তিনি। পরে নিজেই করোনার ভয়াবহতা কথা মাথায় রেখে নিয়ে একটি গান লেখেন। সুরও করেন নিজেই।

সাদুল্লাপুর থানার কয়েকজন সহকর্মী নিয়ে শুরু করেন গানটির চর্চা। এদের মধ্যে নারী পুলিশের সদস্য সুমি ও ইয়াসমিনও আছেন। অবসরে থানার অতিথি রুম ও নিজের বাসায় সবাইকে নিয়ে গানটির চর্চা চলতে থাকে। এরপর একদিন সবাইকে নিয়ে গানটি গেয়ে তা রেকর্ডও করেন। 

তারপর ইউটিউব ও ফেসবুকে গানটি ছেড়ে দেন। ধীরে ধীরে সবার মন কেড়ে নেয় গানটি। গণমানুষকে সচেতন করতে এই প্রয়াস সমাদৃত হয়। মানুষের মন কেড়ে নেয়। পুলিশ প্রশাসন ছাড়াও দেশে বিদেশে মানুষের মনকে নাড়া দেয় গানটি।

তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশ। কিন্তু এ সমাজেরই মানুষ। সমাজের মানুষকে সচেতন করতে গানকে বেছে নিয়েছি। কারণ, গানের মাধ্যমে সহজেই মানুষের কাছে যাওয়া যায়। করোনা বিশ্বব্যাপী মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব বাড়ছে অথম মানুষ সচেতন হচ্ছে না। মানুষকে সচেতন করতে আমার এ প্রয়াস। আমার গানের মাধ্যমে যদি কিছু মানুষও সচেতন হয় তাহলে মনে করব আমি সফল, পুলিশ সফল।’

ব্যক্তিগত জীবনে অতি সাধারণ মানুষ মোস্তাফিজুর রহমান। বর্তমানে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর থানায় ওসি (তদন্ত) হিসেবে কর্মরত। এর আগে রাজশাহী ডিভিশন, ঢাকা ডিভিশনসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় দায়িত্ব পালন করেছেন। সাংসারিক জীবনে দুই মেয়ে সাদিয়া মোস্তারিন মাহি ও মিশ জাহান মৌমি এবং স্ত্রী শারমিন আখতারকে নিয়ে ভালোই আছেন।

গাইবান্ধা/সনি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়