ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

পাটুরিয়ার বালু মহাল নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র মামলা, গ্রেপ্তার ৫

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৩, ২৫ এপ্রিল ২০২১   আপডেট: ১২:৩৪, ২৫ এপ্রিল ২০২১
পাটুরিয়ার বালু মহাল নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ’র মামলা, গ্রেপ্তার ৫

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় অবৈধ্যভাবে আলু উত্তোলন করায় মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল ) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ, (বিআইডব্লিউটিএ) আরিচার পোর্ট  অফিসার মো. মাসুদ পারভেজ ৬ জনকে আসামি করে শিবালয় থানায় মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা ‍পুলিশে ( ডিবি) হস্তান্তর করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত বুধবার ( ২১ এপ্রিল) পাটুরিয়া এলাকা থেকে ৫ আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়। পরে ওইদিনই আদালত  ৫ আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। এ মামলায় বাকি এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

রোববার (২৫ এপ্রিল) জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হানিফ সরকার ঘটনার সত‌্যতা নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা হলেন— মো. আমিনুর ইসলাম মিন্টু,  মো. মানিক, মোন্তাজ উদ্দিন, পলাশ, আলমগীর ও  পান্নু মণ্ডল। এদের মধ‌্যে প্রথম পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাটুরিয়া ঘাটের পুরাতন টার্মিনাল এলাকার সামনে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবসা করে আসছেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘদিন ধরেই বিআইডব্লিটিএ অফিস ম্যানেজ করেই এ ব্যবসা করছেন বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এদিকে, কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমোদন ব্যতীত বন্দর সীমানার মধ্যে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বালি মাটি উত্তোলন স্তুপিকরণ অথবা স্থাপনা নির্মাণ কিংবা অন্য কোনো কার্যক্রম পরিচালনা করার এখতিয়ার কারো নেই। অথচ দীর্ঘদিন এসব অবৈধ বালু ব্যবসা চললেও তেমন কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তবে সর্বশেষ এ বিষয়ে আরিচা বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ৬ জনকে আসামি করে একটি মামলা করলেও প্রধান আসামিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ের পোর্ট অফিসার মাসুদ পারভেজ বলেন, ‘পাটুরিয়া ঘাট এলাকার দীর্গদিন ধরেই স্থানীয় বালু ব্যবসায়ীরা বালু উত্তোলন করে অবৈধ্যভাবে বালুর ব্যবসা করছিলো। আমার আগে অনেক পোর্ট অফিসার তাদের এ বালু ব্যবসা বন্ধ রাখতে স্থানীয় প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছে। আমি এখানে যোগদান করার পরেও থানা পুলিশ ও উপেজলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। তবে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তাই বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মামলা করেছি। আর অফিস ম্যানেজ করে তাদের ব্যবসা করার সুযোগ দেওয়ার অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।’

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হানিফ সরকার জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার ৬ আসামির মধ্যে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। মামলাটি বর্তমানে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তদন্তনাধীন রয়েছে।

চন্দন/বুলাকী

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়