ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ভারতের করোনা পরিস্থিতিতে সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবি’র টহল জোরদার

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:০২, ২৭ এপ্রিল ২০২১  
ভারতের করোনা পরিস্থিতিতে সাতক্ষীরা সীমান্তে বিজিবি’র টহল জোরদার

ভারতে করোনার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেওয়ায় দেশটির সঙ্গে ১৪ দিনের জন্য সীমান্ত বন্ধ ঘোষণা করায় সোমবার (২৬ এপ্রিল) থেকে সাতক্ষীরার সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি’র) টহল জোরদার করা হয়েছে।

সাতক্ষীরার বিজিবি’র ৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অধিনায়ক লে. কর্নেল আল মাহমুদ জানান, সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদারের পাশাপাশি বিজিবির সদস্য সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। অবৈধ যাতায়াত বন্ধে শুন্য সহিষ্ণুতা নীতি গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি’র কর্মকর্তারা।

এদিকে, সীমান্তে কর্মরত বিজিবি’র কর্মকর্তারা জানান, সাতক্ষীরা সীমান্তে কাটাতারের বেড়া না থাকায় অবৈধভাবে যারা ভারতে-বাংলাদেশে যাতায়াত করেন তাদের নিয়ে কিছুটা সমস্যা হয়। আমরা সর্বদা চেষ্টা করি অবৈধভাবে যাতে কেউ পারাপার না হতে পারে। বিশেষ করে ইছামতিসহ সীমান্তবর্তী কিছু নদীর কারণে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বিজিবিকে বেশ বেগ পেতে হয়।

সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রচুর লোকজন যাতায়াত করে থাকেন। বিশেষ করে যারা কাজের জন্য ভারতে যান, তাদের অধিকাংশ অবৈধভাবে যান। সাতক্ষীরা সীমান্তে কমপক্ষে ১৭টি কথিত ঘাট রয়েছে। রয়েছে কথিত ঘাট মালিক। জনপ্রতি ৭ হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকায় তাদেরকে কোলকাতায় পৌঁছে দেওয়া হয়।

তারা আরও জানান, দু’তিন দিনের জন্য টাকা নেওয়া হয় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার করে। যারা কাজ করেন, তাদের বছরব্যাপী থাকতে হয় ভারতে। অন্যদিকে ভিসাতে ৩ মাসের মধ্যে ফেরত আসতে হয় বলে তারা অবৈধভাবে যাতায়াতটাকে শ্রেয় ভাবেন।

এদিকে করোনা ঠেকাতে গত বছরের এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট। এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ যাত্রী প্রতিদিন ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে যাতায়াত করতেন। চিকিৎসা, ব্যবসা, কেনা-কাটা ও পর্যটনের টানে এসব ব্যক্তিরা ভারতে যেতেন। সীমিত সংখ্যক ভারতীয় ব্যবসার জন্য অথবা আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে আসতেন।

সাতক্ষীরা শহরের বাবুল হোসেন জানান, গত এক বছরেরও বেশি সময় ভোমরা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন বন্ধ থাকায় সীমাহীন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে সাতক্ষীরা অঞ্চলের নাগরিকদের। বিশেষ করে চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া ব্যক্তিদের দুর্ভোগ বেড়েছে কয়েক গুণ। ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে যেতে না পেরে বাধ্য হয়ে তাদের ভারতে যেতে হয়েছে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে।

ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশের (ওসি) বিশ্বজিৎ সরকার জানান, সরকারি আদেশে গতবছরের ৭ এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্ট। পণ্যবাহী ট্রাকের ভারতীয় চালক ও সহযোগীদের যাতায়াত রয়েছে। তবে তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।

শাহীন/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়