গাজীপুরে সুতা কারখানায় দু’দফা হামলা-ভাঙচুর, আহত ৮

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি সুতা তৈরির কারখানায় দু-দফায় হামলা ও ভাঙচুর করেছে বহিরাগত বখাটেরা। এসময় কারখানার নিরাপত্তাকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ তিনজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। তাদের মারধরে আহত হয়েছে আরও পাঁচজন।

বৃহস্পতিবার  (২৯ এপ্রিল)  সকালে  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ওসি মনোয়ার হোসেন জানান, ওই কারখানায় হামলা, ভাঙচুর ও কুপিয়ে আহত হওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এলাকাবাসী ও কারখানা কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈর উপজেলার উত্তর লস্করচালা এলাকার করতোয়া স্পিনিং মিলস্ লিমিটেড নামে সুতা তৈরির একটি কারখানা রয়েছে। ওই কারখানার ভেতরে মাটি ভরাটের কাজ চলছিল। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার লস্করচালা এলাকার ফজলুল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম, হাটুরিয়াচালা এলাকার ইছব উদ্দিনের ছেলে জাকির হোসেন, ঝেনজীচালা এলাকার হারেজ উদ্দিনের ছেলে টিটু মিয়ার নেতৃত্বে সাইফুল ইসলাম, বরকত আলী, সবুজ হোসেনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ বহিরাগত লোক কারখানায় ঢুকে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধ করার জন্য লেবারদের ভয়ভীতি দেখায়।  তাদের বাধা উপেক্ষা করে কাজ করতে গেলে তারা লেবারদের মারধর করে এবং কাজ বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়।

পরে হামলাকারী বহিরাগতরা চলে গেলে লেবাররা আবারও মাটি ভরাটের কাজ শুরু করেন। খবর পেয়ে ওইদিন বিকেলে আবারও হামলাকারীরা দা, ছুরি, চাকু, লোহার রড, স্টিলের পাইপ ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কারখানার বাউন্ডারি ওয়াল টপকে ভেতরে ঢোকে এবং ভাঙচুর শুরু করে।

পরে স্থানীয় লোকজন ও কারখানার কর্তৃপক্ষ আহত রাব্বি ও মনিরকে উদ্ধার করে কালিয়াকৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এছাড়া বায়েজিতের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে প্রথমে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিক‌্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা ও মৌচাক ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় ওই কারখানার চিফ সিকিউরিটি অফিসার মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ওইদিন রাতে কালিয়াকৈর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই কারখানার স্টোর অফিসার ওমর ফারুক জানান, কারখানার ভেতরে মাটি ভরাটের কাজ চলছিলো। ওইদিন সকালে ও বিকেলে দু’দফায় কারখানার ভিতরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এ সময় তিনজনকে কুপিয়ে ও অন‌্যদের পিটিয়ে আহত করে।