ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

রিকশার চাকায় জীবন জড়িয়েছে ১০ বছরের ফেরদৌস

এনাম আহমেদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:১৩, ১ মে ২০২১   আপডেট: ১৬:২৭, ১ মে ২০২১

ফেরদৌস সাকিব। বয়স মাত্র দশ বছর। এই বয়সেই সংসারের বোঝা ঘাড়ে চেপে বসেছে তার। সকাল হলে বাড়ি থেকে বের হয়। দিনভর শহরের অলিগলি দাপিয়ে বেড়ায় অটো রিকশা নিয়ে। দিন শেষে কখও দুই-আড়াইশ’ আবার কখনও বা তিন থেকে চারশ’ টাকা রেজগার করে সে।

শিশু ফেরদৌসের বাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ী ইউনিয়নের নশিপুর গ্রামে। কয়েক বছর আগেও ফেরদৌস ছিলেন বাবা-মায়ের আদর-আহ্লাদের। বাবা অন্যত্র বিয়ে করেছেন। বাবা থেকেও তাই ছোটভাইসহ ফেরদৌস এখন অনাথ হয়ে পড়েছে। এই বয়সেই তার জীবনে নেমে এসেছে এক অমানিশার অন্ধকার। 

লেখাপড়া বা খেলাধুলা করলে আর হয়তো রিকশা চালাতে ইচ্ছে করবে না। তাই আর পাঁচটা শখ আহ্লাদের মতো জীবন থেকে লেখাপড়া এবং খেলাধুলাকে বিসর্জন দিয়েছে ফেরদৌস।

ঈদে নিজের জন্য এবং ছোট ভাইয়ের জন্য গেঞ্জি এবং প্যান্ট কিনতে চায় ফেরদৌস। কিনতে হবে সেমাই-চিনি এবং ডাল। বাড়তি টাকা রোজগারের জন্য তাই ঈদের দিনেও রিকশা চালাতে হবে তাকে।

শিশু ফেরদৌসের রিকশায় উঠতে অনেকের বিবেকে বাধা দেয়। তেমনই একজন হলো স্কুলছাত্রী অংকিতা তাবাসসুম। নিজের বয়সের চেয়ে ছোটো একটি শিশু রিকশা চালাচ্ছে, বিষয়টি যেনো কিছুতেই মেনে নিতে পারে না সে।

ফেরদৌসের মতো এমন আরও অনেক শিশু আছে- যাদের বইপত্র ফেলে বেছে নিতে হচ্ছে শ্রমিকের জীবন। জীবনের কঠোর বাস্তবতায় হেরে যেতে হচ্ছে তাদের। কোমলমতি শিশুদের জন্য শ্রমিকের অভিশপ্ত জীবন নয়, চাই সুন্দর এবং পরিচ্ছন্ন জীবন। রাষ্ট্রের কাছে এমনটাই দাবি সচেতন মহলের।

বগুড়া/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়