ঝকঝকে পোশাক আর চকচকে হাসিতেও ভালো নেই দোকান শ্রমিকরা
ইয়াসিন মোহাম্মাদ সিথুন || রাইজিংবিডি.কম
কাস্টমারদের আকৃষ্ট করতে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর পরিপাটি পোশাক পরতে হয়। গুছিয়ে কথাও বলতে হয় দোকান শ্রমিকদের।
বাজারে স্মার্ট দোকান শ্রমিকের বেশ চাহিদা। দোকানে বিক্রি বাড়াতে তাদের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তবে কাস্টমার টানতে না পারায় অনেক দোকান শ্রমিক চাকরিও হারান।
তাই বেতনের বড় একটা অংশ নিজের পোশাক ও প্রশাধনীর জন্য ব্যয় করতে হয় দোকান শ্রমিকদের।
চাকরি বাঁচাতে নিজেকে যতটা পরিপাটি রাখতে পারেন, ততটা দক্ষতার সাথে পরিবারের সদস্যদের চাহিদা মেটাতে পারেন না তারা। পরিবার নিয়ে মোটেও ভালো নেই নীলফামারী জেলা শহরের প্রায় ৪০ জন দোকান শ্রমিক।
ঈদ-পার্বণে দোকান শ্রমিকদের ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করতে হয় দিনে। করোনা ও লকডাউনে সরকারি-বেসরকারি কোনো সহায়তাই পাননি তারা। দোকান বন্ধ থাকায় দুই থেকে তিন মাসের বেতনও পাননি অনেকে। কতদিন এভাবে চলবে তাও বলতে পারেন না তারা।
মে দিবস উপলক্ষে অনেকেই শ্রমিকদের নিয়ে নানা নীতিবাক্য শোনান। কিন্তু দূর্যোগকালে শ্রমিকদের পাশে থাকতে দেখা যায় না কাউকেই।
পরিবার পরিজন নিয়ে মোটেও ভালো নেই নীলফামারীর দোকান শ্রমিকরা। ঝকঝকে পোশাক আর চকচকে হাসি দিয়ে তারা ক্রেতার মন ভোলাতে পারলেও নিজেদের ব্যক্তি জীবনের হতাশা ঢাকতে পারেন না কিছুতেই।
নীলফামারী/সনি
আরো পড়ুন