ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নদীগর্ভে বিলীন ২০০ মি. সড়ক সংস্কার হয়নি, দুর্ভোগ চরমে 

আল আমিন, সুনামগঞ্জ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৬, ১ মে ২০২১  
নদীগর্ভে বিলীন ২০০ মি. সড়ক সংস্কার হয়নি, দুর্ভোগ চরমে 

সুনামগঞ্জ-দোয়ারাবাজার-ছাতক সড়কের নোয়াগাঁওয়ে নদীগর্ভে বিলীন হওয়ায় ২০০ মিটার অংশ ১০ মাসেরও সংস্কার হয়নি। এতে কয়েক লাখ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। 

গত বছর চার দফা বন্যায় পানির তোড়ে সড়কের ওই ২০০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ধসে যায় সেতুর দুই পাশে এপ্রোচ সড়ক। বিচ্ছিন্ন হয় যায় ছাতক-দোয়ারাবাজার সরাসরি যান চলাচল।

স্থানীয় নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা কয়েস মিয়া বলেন, গত বন্যায় সড়ক ভেঙে যায়। ভেঙে যাওয়ার পর থেকে এই সড়ক সংস্কার হয়নি। সংস্কার না হওয়ায় সরাসরি যান চলাচল করতে পারে না। ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়ক দিয়ে মানুষ সরাসরি জেলা সদরে যেতে পারছে না। ভোগান্তিতে পড়েছে এলাকার মানুষ। 

মোটরসাইকেল চালক করিম মিয়া বলেন, এই সড়কের কাটাকালি বাজার থেকে বিভিন্ন এলাকায় মোটরসাইকেলে যাত্রী নিয়ে যেতেন। কিন্তু নোয়াগাঁও এলাকায় সড়ক ভেঙে যাওয়ায় এখন কোনো ধরনের যান চলাচল করতে পারে না। ভাঙনের দুইপাড়ে গাড়ি নিয়ে বসে থাকতে হয় চালকদের। 

দেলোয়ার হোসেন নামে এক যাত্রী বলেন, ছাতক থেকে সুনামগঞ্জ যেতে ছাতক-দোয়ারাবাজার-সুনামগঞ্জ সড়ক দিয়ে গেলে এক থেকে দেড় ঘণ্টায় যাওয়া যায়। কিন্তু ভাঙনের ফলে এখন সরাসরি যাওয়া যায় না। এখন বিভিন্ন স্টেশনে ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে। সময়ও বেশি লাগছে। 

সুনামগঞ্জ এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, গত বছরের জুন ও জুলাই মাসে পরপর চার দফা বন্যার কবলে পড়ে জেলার আঞ্চলিক সড়কের ব্যাপক ক্ষতি হয়। ৪০টি সেতুর সংযোগ সড়কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্ন এলাকায় সড়কের ২২ স্থান বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। এর মধ্যে ছাতক-দোয়ারাবাজার সড়ক দিয়ে উপজেলা থেকে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। 

সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম জানান, নোয়াগাঁও এলাকায় একটি সেতু ও সড়ক নির্মাণ করা হবে। প্রাক্কলন তৈরি করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতির জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হয়ে আসলে সংস্কারের কাজ শুরু হবে।
 

/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়