সাভারে চলেছে কিছু সংখ্যক বাস, ছিলো গাদাগাদি যাত্রী
সাভার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
করোনা মহামারিতে চলমান লকডাউনে দেশে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। কিন্তু সাভারে সররকারের নির্দেশনা উপেক্ষা করে বিভিন্ন কৌশলে কিছু সংখ্যক বাস চালাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, দ্বিগুণ ভাড়ায় গাদাগাদি করে যাত্রীও তুলছেন। এতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে।
শনিবার (১ মে) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঘুরে দেখা গেছে, সাভারের ঢাকা-আরিচা ও আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে মাঝে-মাঝে স্থানীয় বাস চলাচল করছে। দূরপাল্লার দু’-একটি গণপরিবহনও চলতে দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসগুলোকে হেমায়েতপুর, সাভার বাসস্ট্যান্ড, রেডিওকলোনী, সিএন্ডবি, বিশমাইল, নবীনগর, পল্লীবিদ্যুৎ, বাইপাইল, ইপিজেডসহ বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রী উঠা-নামা করেছে।
সাভার পরিবহন, ইতিহাস, ঠিকানা ও আশুলিয়া ক্ল্যাসিক পরিবহনের বাসই চলেছে সড়কে। কোনো বাসের সামনে স্টিকার সাঁটানো ‘পোশক শ্রমিক’, কোনোটার সামনে ‘নবাবগঞ্জ থানা’। অনেক বাসের আবার নেই কোনো স্টিকার। বাসের ডাবল সিটগুলো যাত্রীতে ভর্তি ছিলো। অনেককে দেখা গেছে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে যেতে। তবে সড়কের কোথাও পুলিশ কিংবা প্রশাসনের নজরদারি চোখে পড়েনি।
ইতিহাস পরিবহনে নবীনগর থেকে আমিনবাজারগামী যাত্রী নুরুল ইসলাম ও তাহমিনা আক্তার দম্পতির সঙ্গে বেশিভাড়া দাবি করা নিয়ে বাসের কন্ডাক্টরের বাকবিতণ্ডা হয়। কিন্তু কন্ডাক্টরের দাবিকৃত ভাড়া দিতে বাধ্য হন ওই দম্পতি।
যাত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, নবীনগর থেকে আমিনবাজারের ভাড়া ২৫ টাকা। দুইজনের ৫০ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তারা ৮০ টাকা চাচ্ছে। কেন এত টাকা, তার উত্তর নেই। পরে ৮০ টাকা দিতে হয়েছে।
একইবাসে সাভারের উদ্দেশে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে যাওয়া যাত্রী মো. কামরুজ্জামান বলেন, ‘কী করবো ভাই? যেতে হবে এটাই বড় কথা। অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে আছি কিন্তু কোনো গাড়ি নেই।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইতিহাস পরিবহনের কন্ডাক্টর বলেন, ‘বাস চালামুনাতো কী করমু ভাই। সবিতো চলে, বাস চালাইতে দোষ কী? আর বাস না চালাইলে আমরা খামু কী? কত দিন ধইরা আমাগো কামকাজ নাই। এমনে চললে পোলামাইয়াতো না খাইয়া মরবো।’
দ্বিগুণ ভাড়ায় গাদাগাদি করে যাত্রী নিচ্ছেন কেন- এমন প্রশ্নে হাসি দিয়ে দ্রুত চলে যান বাসের এই স্টাফ।
সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম খান বলেন, পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্ট আছে। শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) থেকে তারা অভিযানে নেমেছেন। মামলাও দিয়েছেন। আজ সন্ধ্যার পরে আবার শুরু করবেন।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাজহারুল ইসলামকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
সাব্বির/বকুল
আরো পড়ুন