ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ইউএনও’র সহযোগিতায় নতুন জীবন পেলেন মাকসুদা

নেত্রকোনা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২৮, ৩ মে ২০২১   আপডেট: ১১:৩০, ৩ মে ২০২১
ইউএনও’র সহযোগিতায় নতুন জীবন পেলেন মাকসুদা

ইউএনও’র সহযোগিতায় নতুন জীবন পেল নেত্রকোনার মদনের অসহায় অগ্নিদগ্ধ সেই শিশু মাকসুদা (৫)। শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৪৩ দিন চিকিৎসার পর বাড়ি ফিরেছে সে। মাকসুদা জেলার মদন পৌরসভা সদরের বাড়ীভাদেরা এলাকার সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পুতুলের শাড়ি দিয়াশলাই দিয়ে সুতা পুড়ানোর সময় শরীরে থাকা জামায় লেগে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হয় মাকসুদা। মুহূর্তের মধ্যেই পুড়ে যায় সমস্ত শরীর। চিকিৎসা করানোর সামর্থ্য না থাকায় শরীরের সমস্ত জায়গায় পচন ধরেছিল। এভাবেই মরতে বসেছিল সে।

এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মদন উপজেলার করোনার গ্রুপ থেকে জানতে পারেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বুলবুল আহমেদ। তাৎক্ষণিক ছুটে যান তিনি এবং চিকিৎসার দায়িত্ব দেন। ৪৩ দিন চিকিৎসার পর নতুন জীবন ফিরে পেল মাকসুদা আক্তার।
ইউএনওর এমন পদক্ষেপে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসছেন তিনি। রোববার (২ মে) বিকালে মাকাসুদাকে দেখতে তার গ্রামের বাড়ি পৌরসভার বাড়িভাদেরায় ছুটে যান ইউএনও বুলবুল আহমেদ। এ সময় উপজেলা করোনা গ্রুপের সমন্বয়ক সাংবাদিক আব্দুল আওয়াল উপস্থিত ছিলেন।

বাবা সিদ্দিক মিয়া বলেন, ‘আমি দিন মজুর, দিনে আইনে দিনে খাই। আমার মেয়ের যে অসুস্থ হয়েছিল ঢাকা নিয়ে ডাক্তার দেখাইবার ক্ষমতা আমার ছিল না। আমার মেয়ে ভাল হইছে। আগের মতো এহন খেলতে পারবে। স্যারের কাছে আমি ঋণি। এই উপকার কোনো দিন ভুলতে পারব না।’

মাকসুদার মা জাফরিন আক্তার বলেন, ‘আমার মেয়ে ঘরেই পচে মরতে ছিল। ডাক্তার দেখাবার কোন সামর্থ ছিল না আমার। বড় স্যার আমার মেয়েরে ঢাকায় ডাক্তার দেখানোর পর আমার মেয়ে জীবন ফিরে পাইছে।’

ইউএনও বুলবুল আহমেদ বলেন, ‘মাকসুদাকে দেখতে আজ তাদের গ্রামের বাড়িতে গিয়েছিলাম। এখন মোটামুটি ভাল আছে। যদি আরও চিকিৎসার প্রয়োজন হয় তাহলে উপজেলা প্রশাসন তার ব্যয়বার গ্রহণ করবে। তবে মাসকুদার চিকিৎসার ব্যাপারে আরও যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন তাদের তিনি ধন্যবাদ জানান।

দেবল/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়