ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

খুলনায় দৈনিক কোটি টাকার তরমুজ বেচাবিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৭:৪৭, ৫ মে ২০২১  
খুলনায় দৈনিক কোটি টাকার তরমুজ বেচাবিক্রি

খুলনা প্রতিদিন কোটি টাকার উপরে তরমুজ বেচাবিক্রি হচ্ছে। এ জেলার পাঁচটি উপজেলা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তরমুজ পাঠানো হচ্ছে।

খুলনার দাকোপ, পাইকগাছা, কয়রা, ডুমুরিয়া ও বটিয়াঘাটায় প্রচুর তরমুজ উৎপাদন হয়। চাষীরা সরাসরি উপজেলা থেকে খুলনার কদমতলা আড়ৎগুলোতে নিজেদের উৎপাদিত তরমুজ নিয়ে আসেন। 

খুলনার কদমতলার মেসার্স আঁচল বাণিজ্য ভান্ডারের প্রোপাইটার ও কদমতলা ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গৌরাঙ্গ সাহা বলেন, ‘খুলনার বাজারে প্রতিদিন তরমুজের চাহিদা প্রায় দুলাখ। যার বাজার মূল্য রয়েছে নূন্যতম এক কোটি টাকা। বর্তমানে সেই চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছেন খুলনার ব্যবসায়ীরা।’

কদমতলার উল্লেখযোগ্য আড়ৎগুলো হলো— আমিন উল্লাহ ভান্ডার, মোল্লা ভান্ডার, বিসমিল্লাহ ভান্ডার, সুমন ট্রেডিং, আঁচল বাণিজ্য ভান্ডার, লাকি ট্রেডার্স, বাগদাদ ট্রেডিং, তানভীর ভান্ডার ও মেসার্স তকদীর ভান্ডার। 

এসব আড়ৎ থেকে প্রতিদিন ফেনি, চৌমহনী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, চাঁদপুর, হাজীগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, হবিগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, চকরিয়া, টেকনাফ ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় তরমুজ যায়। 

পাইকগাছার হরিণখোলার তরমুজ চাষী পবিত্র গোয়ালদার বলেন, ‘তরমুজ চাষ লাভজনক হলেও কেজিতে বিক্রি করতে না দেওয়ায় আমরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছি।’

পাইকগাছার দারুন মল্লিকের তরমুজ চাষি সদানন্দ মন্ডল বলেন, ‘এ বছর এখনো খুব একটা বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে তরমুজ উৎপাদনে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছি। তবে বৃষ্টি হলে ফের গতি ফিরে পাব।’

পাইকগাছার অপর চাষী কামরুজ্জামান শিকারি বলেন, ‘বৃষ্টি না হওয়া ও কেজিতে বিক্রি করতে না পারায় আমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’

খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সূত্রে জানা যায়, এ বছর জেলায় মোট ৭ হাজার ৫১২ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করা হয়। এর মধ্যে দাকোপে ৩ হাজার ৪০৭, বটিয়াঘাটায় ২ হাজার ১৫০, পাইকগাছায় ১ হাজার ১০০, কয়রায় ৬৫০ ও ডুমুরিয়ায় ২০০ হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়। এছাড়া বিচ্ছিন্নভাবে অন্যান্য স্থানে আরও ৫ হেক্টর জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে।

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়