শিমুলিয়া ঘাটে এবার লঞ্চ চলাচল বন্ধে ব্যারিকেড

মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়াঘাট থেকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নৌযান চলাচল বন্ধে স্পিডবোটের পর এবার লঞ্চঘাটে ব্যারিকেড দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (৭ মে) পদ্মা নদীতে লোহার পাইপ ও ভাসমান বয়া দিয়ে লঞ্চ ঘাটের প্রবেশমুখ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এতে লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চ ও ট্রলার চলাচলের আর সুযোগ থাকছে না।

গত বুধবার (৫ মে) স্পিডবোট ঘাটে বাঁশ, রশি ও লাল কাপড় দিয়ে ব্যারিকেড দেয় মাওয়া নৌপুলিশ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চঘাট ও বিপরীত দিকের চরে নোঙর করা রয়েছে অর্ধশতাধিক লঞ্চ। ঘাটে লঞ্চ প্রবেশ ও বের হওয়ার মুখে নদীতে ভাসমান ড্রামজাতীয় বয়ার ওপর ড্রেজিং পাইপ দিয়ে আটকে দেওয়া হয়েছে। স্পিডবোট ঘাটে টহলরত রয়েছেন নৌপুলিশের সদস্যরা। নৌরুটে চলাচলকারী স্পিডবোটগুলোও ঘাটে নোঙর করা রয়েছে।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া বন্দর কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন। তিনি জানান, লকডাউনে নির্দেশনা অনুযায়ী নদীতে আর যেন কোনো স্পিডবোট, ট্রলার ও লঞ্চ চলাচল করতে না পারে সেজন্য ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। লকডাউনের ১৬ মে পর্যন্ত এ নির্দেশনা চলবে।

লকডাউনে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকার নির্দেশনা ছিল। তবে সেই নিয়ম উপেক্ষা করে স্পিডবোট চলছিল। গত সোমবার (৩ মে) নিয়ম অমান্য করে চলতে গিয়ে মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাটের কাছে বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি স্পিডবোটের ২৬ যাত্রী নিহত হন। এ দুর্ঘটনার পর থেকে নড়েচড়ে বসেছে কর্তৃপক্ষ।