ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদযাপন 

ডেস্ক রিপোর্ট  || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৪৬, ১৩ মে ২০২১   আপডেট: ১৪:১১, ১৩ মে ২০২১
দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদযাপন 

দেশের বিভিন্ন স্থানে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে। সকালে সেখানে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া. পটিয়া, চন্দনাইশ এবং বাঁশখালী উপজেলার কমপক্ষে ৪০টি গ্রামে ঈদ উদযাপন করা হচ্ছে। সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল দরবার শরীফের ভক্ত ও অনুসারীরা আগাম ঈদ উদযাপন করছেন।

সকাল ১০টায় সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল দরবার শরীফের মসজিদে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন, দরবার শরীফের পীর হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আরেফুল হাইয়ের বড় ছেলে মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ মকছুদুর রহমান। এই ঈদ জামাতে দরবারের অনুসারী এবং আগাম ঈদ উদযাপনকারী স্থানীয়রা অংশ নেন। 

ঈদ জামাতের ইমাম মুফতি মাওলানা মকছুদুর রহমান জানান, প্রায় ২০০ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এই দরবার শরীরের অনুসারীরা পবিত্র ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা উদযাপন করে থাকে। এই বছর চট্টগ্রামের ৪০টির বেশি গ্রামে আজ ঈদ উদযাপন হচ্ছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকা দরবারের অনুসারীরা আজ ঈদ উদযাপন করছেন। 

চট্টগ্রামের যেসব গ্রামে আগাম ঈদ উদযপান হচ্ছে, এর মধ্যে সাতকানিয়া উপজেলার মির্জারখীল, এওচিয়ার গাটিয়া ডেঙ্গা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা গ্রাম; চন্দনাইশ উপজেলার কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাইমাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি গ্রাম; বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া গ্রাম; আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া গ্রাম অন্যতম। 

এদিকে, মৌলভীবাজার জেলার কয়েক স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হয়েছে। 

সকালে মৌলভীবাজার শহরের সার্কিট হাউস এলাকায় আহমেদ শাবিস্তা নামে বাসার ছাদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। নামাজে এলাকার শতাধিক নারী ও পুরুষ অংশ নেয়। 

নামাজে ইমামতি করেন আলহাজ্ব আব্দুল মাওফিক চৌধুরী। তিনি পীর সাহেব উজান্ডি নামে পরিচিত। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা সৌদি আরবের সময়ের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপন করছেন্। 

নামাজ শেষে দেশ ও জাতি মঙ্গল, ফিলিস্তিনের মুসলমানদের শান্তি এবং মহামারি করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য মোনাজাত করা হয়।

জেলার কুলাউড়া, বড়লেখা ও শ্রীমঙ্গল উপজেলার কয়েকটি গ্রামেও ঈদের নামাজ আদায় করা হয়েছে।

এদিকে, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চটেরহাট বাজার জামে মসজিদে বিভিন্ন গ্রামের দুই শতাধিক মানুষ ঈদের নামাজ আদায় করেছেন।

নামাজে ইমামতি করেন ওই মসজিদের ঈমাম মাওলানা আজহারুল ইসলাম। ৬ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে তারা ঈদ উদযাপন করছেন। 

ঈদের নামাজকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মসজিদ এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।  

এদিকে, নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলার তিনটি গ্রামে সকালে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন কয়েকশত মানুষ। বেগমগঞ্জ উপজেলার বসন্তেরবাগ গ্রামের জামে মসজিদ, উত্তর ফাজিলপুর দায়রা বাড়ির দায়রা জামে মসজিদ ও সদর উপজেলার হরিনারায়ণপুর জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ তিনটি গ্রামের বেশ কিছু সংখ্যক মানুষ আজ ঈদ উদযাপন করছেন।

নোয়াখালী পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বলেন, তিনটি জামাতে কয়েকটি গ্রামের কয়েকশত মুসল্লি নামাজে অংশ নেন। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আজ তারা ঈদ উদযাপন করছেন।  

রেজাউল/সাইফুল্লাহ/টুটুল/সুজন/বকুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়