ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

শেষ সময়ে নরসুন্দরের কাছে ভিড় 

আরিফুল ইসলাম সাব্বির || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২৩:০২, ১৩ মে ২০২১  
শেষ সময়ে নরসুন্দরের কাছে ভিড় 

ঈদের কেনাকাটা শেষ করে ঈদগাহে যাওয়ার আগে নিজেকে পরিপাটি করে সাজাতে চুল দাড়িতে কাঁচি চালিয়ে নিতে নরসুন্দরদের কাছে যাচ্ছেন ছেলে-বুড়ো সবাই। তাই ভিড় বেড়েছে সেলুনসহ জেন্টস পার্লারগুলোয়।

সাভার ও ধামরাইয়ের বিভিন্ন সেলুন ও জেন্টস পার্লারে দেখা যায়, প্রতিবছরের মতো এবারও ঈদকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন নরসুন্দররা। ভোর থেকে শুরু করে মাঝরাত পর্যন্ত কাজ করছেন তারা। অন্যান্য দিনের চেয়ে চুল কাটানো, দাড়ি কামানোয় পারিশ্রমিকও নিচ্ছেন খানিকটা বেশি। 

সেলুনগুলোতে ঘুরে দেখা যায়— চুল কাটার জন্য মানুষের বেশ ভিড়। 

সেলানু মালিক নন্দলাল মজুমদার জানান, তার সেলুনে চার জন কর্মচারী। এখন সবার হাতেই খুব কাজ। সেবা গ্রহীতারা সিরিয়াল ধরে বসে আছেন।

সাধারণ সময়ে সেলুনে চুল কাটাতে ৫০-৭০ টাকা ও দাড়ি কাটাতে ৩০-৫০ টাকা লাগে। এছাড়া মালিশের জন্য বাড়তি ৫০-৬০ টাকা লাগত। তবে ঈদের সময়ে দিতে হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা করে। সেভ করতেও দিতে হচ্ছে বাড়তি টাকা। 

ধামরাইয়ের একটি সেলুনে চুল কাটাতে এসেছিলেন কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সোহেল রানা। তিনি বলেন, ‘গতকাল বিকেলে এসে সিরিয়াল দিয়ে গিয়েছিলাম। আজকে সিরিয়াল দিয়েছে। তাই সকাল সকাল এসেছি। একটু পর হয়ত সিরিয়াল পাব।’

সাভারের জেন্টস পার্লারে সেভ করতে আসা আব্দুল বারেক বলেন, ‘ঈদের আগে চুল-দাড়ি কাটাতে না পারলে চলে না। তাই চটপট চলে আসছি। তবে অনেক ভিড় দেখলাম সবখানে।’ 

চুল কাটাতে আসা বাবুল হোসেন বলেন, ‘ঈদের আগে চুল কাটাইতে আসি। কিন্তু প্রতিবারই এরা টাকা বাড়তি রাখে। এবার অন্যান্য বারের চেয়ে একটু বেশিই রাখল।’

ধামরাইয়ের মা জেন্টস পার্লারের মালিক নন্দ গোপাল বলেন, ‘করোনা আসার পর কাজ কমে গেছে। ঈদকে কেন্দ্র করে আবার একটু ভালো হাওয়া লাগছে। সেলুনগুলোতে মানুষ আসছে। গত দুই-তিন দিন আগ থেকে কাস্টমারের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তাই ব্যস্ততাও বেড়েছে।’

সাভার বাজারের নরসুন্দর শুভঙ্কর কুমার বলেন, ‘সবকিছুর দাম বেশি, তাই পারিশ্রমিক বাড়ানো হয়েছে। এখন দাড়ি সেভ করা ও ছাঁটার জন্য ৭০ টাকা এবং চুল কাটতে দিতে হচ্ছে ১০০ টাকা করে।’

আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুতের রিপন চন্দ্র নামে আরেক নরসুন্দর বলেন, ‘দুই ঈদ ও পূজাকেন্দ্রিক আমাদের ব্যবসা। তাই ঈদের সময় সারারাত কর্মব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে। এ মৌসুমটাকে পারিশ্রমিক একটু বেশি নেওয়া হয়। তবে তা জোর করে নয়, যারা সেলুনে আসেন খুশি হয়েই বেশি করে দেন।’

সাভার/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়