ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চট্টগ্রামে বিভিন্ন সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশার নৈরাজ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:১০, ১৬ মে ২০২১   আপডেট: ১৪:২১, ১৬ মে ২০২১
চট্টগ্রামে বিভিন্ন সড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশার নৈরাজ্য

চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন আন্তঃউপজেলা সড়কগুলোতে সিএনজিচালিত অটোরিকশার নৈরাজ্য চলছে।

যাত্রীদের অভিযোগ,  ঈদের দিন থেকে দ্বিগুণ, তিনগুণ বেশি ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি বিভিন্নস্থানে চলাচলের প্রধান সড়ক দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে সিএনজি স্টেশন। আর সড়কে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষায় রোদে যানজটে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকদের এই নৈরাজ্য দেখার কেউ নেই, তবে সিএনজিচালিত অটোরিকশার থেকে বিভিন্ন স্টেশনে চাঁদা আদায় হয় প্রকাশে।

রোববার (১৬ মে) সকালে সরেজমিন দেখা যায়, চট্টগ্রামের বিভিন্ন আন্তঃউপজেলা সড়কগুলোর মধ্যে চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়ক, চট্টগ্রাম হাটহাজারী নাজিরহাট সড়ক, পটিয়া, বোয়ালখালী, বাঁশখালী, আনোয়ারা, রাউজান, রাঙ্গুনিয়া প্রভৃতি উপজেলায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার নৈরাজ্য চলছে বাধাহীন।

চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কে চলাচলকারী যাত্রী আবু সৈয়দ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ঈদের আগে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় জনপ্রতি যে ভাড়া ছিলো ৫০ টাকা, ঈদের দিন থেকে সেই ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা করে আদায় করছে। আবার যে দূরত্বে রিজার্ভ সিএনজি ভাড়া ছিলো ২০০ টাকা, সেই ভাড়া সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা আদায় করতে ৫০০ টাকা করে। চট্টগ্রামের প্রায় প্রতিটি সড়কে এই নৈরাজ্য চলছে।’
চট্টগ্রামের মরিয়ম নগর এলাকা সিএনজি যাত্রী এহতেশাম মামুন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আগে মরিয়মনগর থেকে চন্দ্রঘোনা ১৫ টাকায় যেতাম, সেই ভাড়া এখন ৩০ টাকা। কাপ্তাই সড়কের কুয়াইশ নতুন রাস্তা থেকে চন্দ্রঘোনা আগের ভাড়া ছিলো ৫০ টাকা, এখন সেই ভাড়া জনপ্রতি ১০০ টাকা। একই রকম নৈরাজ্য চলছে চট্টগ্রামের প্রতিটি সড়কে।

অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ছাড়াও শত শত সিএনজিচালিত অটোরিকশা বিভিন্ন সড়ক দখল করে স্টেশন তৈরি করে যাত্রী বহন করছে। এর ফলে দীর্ঘ যানজটে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ।’

চট্টগ্রাম হাটহাজারী সড়কের বাসচালক মোহাম্মদ মুছা রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘সিএনজিচালিত অটোরিকশার জন্য বাস চালানোও দায়। সড়ক জুড়ে সিএনজির আধিপত্য। আমরা অসহায়। তারা যেমন ইচ্ছে সড়ক বন্ধ করে যাত্রীর অপেক্ষা করে।’

আবু হামিদ নামের একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ঈদের সিজনে আমরা একটু ভাড়া বেশি নিচ্ছি। এটা বছরে মাত্র একবার আমরা কিছু বেশি আয় করি। এছাড়া সড়কের বিভিন্ন স্টেশনে আমাদের ১০ টাকা ২০ টাকা হারে চাঁদা দিতেই হয়।’
দুই একদিনের মধ্যেই ভাড়া আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে এই অটোরিকশার এই চালক জানান।

কাপ্তাই সড়কে দায়িত্ব পালনকারী একাধিক ট্রাফিক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শত শত সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণের কোনো উপাই নেই। এই সড়কে বিভিন্ন স্টেশনে ১ জন কিংবা ২ জন ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। আর এই ১/২ জন ট্রাফিক হাজার হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না কোন ভাবে। ফলে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।’

চট্টগ্রাম/রেজাউল/বুলাকী

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়