ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শিমুলিয়া ঘাটে অটোরিকশা-চালকদের কাছে জিম্মি যাত্রীরা

শেখ মোহাম্মদ রতন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:৫৬, ১৮ মে ২০২১   আপডেট: ১৯:০২, ১৮ মে ২০২১
শিমুলিয়া ঘাটে অটোরিকশা-চালকদের কাছে জিম্মি যাত্রীরা

ঈদ শেষে রাজধানী ঢাকায় ছুটছেন মানুষ। মাদারীপুরের বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া ফেরিঘাট হয়ে মঙ্গলবার (১৮ মে) দিনব‌্যাপী কয়েকহাজার মানুষ পার হয়েছেন। 

তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ফেরিঘাট থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এই সুযোগে সিএনজি অটোরিকশার চালকদের পোয় বারোতে গিয়ে ঠেকেছে। তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা।

শিমুলিয়া থেকে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলা সদরের প্রতিটি রুটেই তিন চাকার এই যানে দুই থেকে তিনগুণ বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

শিমুলিয়ার এক, দুই ও তিন নম্বর ফেরিঘাটের সামনে সারি সারি সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে অপেক্ষা করছেন চালকরা। ছোটযানের মধ্যে ঘাটজুড়ে এ বাহনটিরই প্রভাব ও রাজত্ব। 

মানুষের চাপ থাকায় ঢাকামুখী যাত্রীরা ঘাটের সীমিত সংখ্যক এসব যানবাহনে উঠে পড়ছেন। এ সুযোগে প্রতিটি সিএনজিতে পাঁচ/ছয় জন করে যাত্রী নিতে দেখা যায়। এসব যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি একবারেই উপেক্ষা করা হচ্ছে। আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।

ঢাকাগামী যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিমুলিয়া ঘাট থেকে জনপ্রতি ঢাকার পোস্তগোলা ১৫০ টাকা, নয়াবাজার ১৬০ টাকা, সায়েদাবাদ ১৬০-১৮০ টাকা, মোহাম্মদপুর ৩০০-৩৫০ টাকা, মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর ১০০ টাকা ও নারায়ণগঞ্জ ১৫০ টাকা ভাড়ায় নিয়মিত যাতায়াত করা হয়। 

বর্তমানে শিমুলিয়া ঘাট থেকে পোস্তগোলা ও নয়াবাজার ৩০০ টাকা, সায়েদাবাদ ৪০০ টাকা, মোহাম্মদপুর ৫০০-৬০০ টাকা, মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর ২০০ টাকা ও নারায়ণগঞ্জ ৩০০-৪৫০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে যাত্রীদের।

রাকিব হোসেন নামের এক যাত্রী বলেন, ‘ঈদ শেষে তো কর্মস্থলে ফিরতেই হবে। কাজ না করলে জীবন-জীবিকা কীভাবে চলবে? যাওয়ার সময় চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। এখন ঢাকায় ফিরছি তার দুর্ভোগের মধ‌্য দিয়েই। গণপরিবহন না থাকায় দুই/তিন গুণ বেশি ভাড়া দিয়ে ঢাকায় যেতে হচ্ছে।’

আরেক যাত্রী আমির হোসেন বলেন, ‘১০০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা দিয়ে যেতে হচ্ছে। তারপরও অতিরিক্ত যাত্রী তোলা হচ্ছে। মানুষকে শুধু শুধু এমন ভোগান্তিতে ফেলে জিম্মি করার কোনো মানে হয় না।’

তবে যাত্রীদের সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সিএনজি চালকরা।

নয়াবাজার রুটের সিএনজিচালক আজিজুল বলেন, ‘যাওয়ার সময়তো ভালোই যাত্রী পাই। আসতে হয় খালি। তাই বেশি ভাড়া না নিলে পোষায় না আমাদের।’

অপর সিএনজি চালক মো. কালাম বলেন, ‘রাস্তায় তিন থেকে চার জায়গায় পুলিশকে টাকা দেওয়া লাগে। আমরা কী করুম? ভাড়া বেশি না নিয়া উপায় নাই।’

মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইমচার্জ (টিআই) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন বলেন, ‘সিএনজিসহ কোনো যানবাহন থেকেই পুলিশ কোনো টাকা নেয় না। যদি এমন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে সেই পুলিশের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মুন্সীগঞ্জ/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়