মিয়ানমার সীমান্তে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৪৫, মৃত্যু ১

বান্দরবানের থানচি উপজেলার দুর্গম মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বড়মদক ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পাতোয়া ম্রো পাড়া, অংগ্যি খুমী পাড়া ও ঙারেসা মুরুং (নারিচা) পাড়ায় ৪৫ জন ভয়াবহ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

গত মঙ্গলবার (১৮ মে) থেকে শুক্রবার (২১ মে) পর্যন্ত ৪৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। ডায়রিয়া প্রতিরোধে বড় মদক বাজারের ফার্মেসি থেকে স্যালাইন ও প্রয়োজনীয় ওষুধ নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা চলছে। তবে রোগীদের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।

শুক্রবার (২১ মে) স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুইশৈথুই মার্মা এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ডায়রিয়া সংক্রামক এলাকাটি থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার দূরে। নদী পথ ছাড়া যাতায়াতের পথ অত্যন্ত দুর্গম। এসব কারণে ডায়রিয়া আক্রান্ত স্থানীয়দের হাসপাতালে ভর্তি করানো সম্ভব হচ্ছে না। 

স্থানীয় ঝিরি ও ঝর্নার পানি শুকিয়ে যাওয়ায় এলাকাবাসী বিভিন্ন উৎস থেকে দূষিত পানি সংগ্রহ করে তা পান করায় ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তাছাড়া দুর্গম এলাকা হওয়ায় সঠিক চিকিৎসার অভাবে রোগটি দ্রুত সময়ে এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে।

থানচি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানি বলেন, ‘থানচির দুর্গম কয়েকটি এলাকায় গণডায়রিয়ার খবর পেয়েছি। ইতোমধ্যে আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যুর খবরও পেয়েছি। উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সমন্বয়ে সেখানে একটি চিকিৎসক টিমসহ ১০ হাজার পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট পাঠিয়েছি।’

স্বাস্থ্য বিভাগের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ‘উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ের আক্রান্ত এলাকায় পর্যাপ্ত পরিমাণ ওষুধ, স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেটসহ চিকিৎসক টিম পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।’

তিনি জানান, থানচি সদর এলাকায় গত এক সপ্তাহে ৫ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। তাছাড়া ৪ জন শিশুসহ ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জনবল সংকটে রয়েছে।