ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

শিশুর লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন

রাজবাড়ী প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০০:৩৫, ২২ মে ২০২১   আপডেট: ০২:০৩, ২২ মে ২০২১
শিশুর লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদঘাটন

রাজবাড়ীতে নিখোঁজের তিনদিন পর মুরছালিন (৬) নামে এক শিশুর বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সকালে পাংশা উপজেলার সাজুরিয়া গ্রামের পাটক্ষেত থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত মুরছালিন মন্ডলের (৬) বস্তাবন্দি লাশ পাওয়ার পরপরই হত্যাকাণ্ডে সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ কিশোর অপরাধী মো. শাকিল আহম্মেদ রনি (১৫) ও মো. হাবিবুর রহমানকে (৬২) রাজবাড়ী জেলার পাংশা থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পাংশা মডেল থানার ওসি শাহাদত হোসেন জানান, জিজ্ঞাসাবাদে কিশোর অপরাধী রনি স্বীকার করেছে যে সে অনিচ্ছাকৃতভাবে খুন করেছে ওই শিশুকে। আর অপর আসামি হাবিবুর রহমান লাশ গুম করার কথা স্বীকার করেছে।

জবানবন্দিতে আসামি জানায়, গত রোববার (১৬ মে) সকালে মুরছালিন তাদের বাড়িতে এসে তার ছোট ভাই আরিয়ানের সাথে খেলছিল। খেলার এক পর্যায়ে আরিয়ানকে চড় মারে মুরছালিন। সেটা দেখে আসামি রনি মুরছালিনকে চড় মারে। এতে সে দেয়ালের সঙ্গে জোরে ধাক্কা খায় এবং জ্ঞান হারায়। পরে অজ্ঞান অবস্থায় মুরছালিনে লাশ এক পানি ভরা বালতিতে রাখে। এরপর সুযোগ বুঝে বালতি থেকে একটি বস্তার মধ্যে ভরে। এরপর বস্তাটি বালতির মধ্যে রেখে বালতিটি তার দাদার বাথরুমের পেছনের হাউজে রাখে এবং চাটাই ও ছেড়া জাল দিয়ে ঢেকে রাখে।

লাশ গুম করার বিষয়ে আসামি হাবিবুর রহমান (৬২) জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, সে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে পাটক্ষেতের মধ্যে ফেলে আসে। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জানায়, পরদিন ভোরে তার স্ত্রী কাঞ্চন মালা বাথরুমের সামনে গেলে কিসের যেন গন্ধ পায়। তখন বিষয়টি কাঞ্চনমালা তার স্বামী হাবিবুর রহমানের কাছে জানায়। সে বাথরুমের পিছনে গিয়ে বালতির মধ্যে একটি বস্তা দেখতে পায় এবং বস্তার ভিতরে মুরছালিনের লাশ দেখতে পায়। এরপর সবার অগোচরে লাশ বাড়ির উত্তর পাশের বছিরের পাটক্ষেতে ফেলে আসে এবং বালতিটি ভেঙে ফেলে।

উল্লেখ্য, গত রোববার (১৬ মে) থেকে মুরছালিনকে পাওয়া না গেলে তার স্বজনেরা জানান, মোহাম্মদ ইউনুস মোল্লা বাড়ির সামনে পাকা রাস্তার উপর খেলা করছিল। এমন সময় অজ্ঞাত এক মোটরসাইকেল আরোহী মুরছালিনকে নিয়ে যায়।

সুকান্ত/আমিনুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়