ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস; জোয়ারে সেন্টমার্টিনে উপড়ে যাচ্ছে গাছপালা

কক্সবাজার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৯:২৭, ২৫ মে ২০২১  
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস; জোয়ারে সেন্টমার্টিনে উপড়ে যাচ্ছে গাছপালা

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে প্রবল জোয়ারের পানিতে উপড়ে যাচ্ছে গাছপালা। ভাঙন ধরেছে জেটির পল্টুনে ও রাস্তাঘাটে। তবে মানুষের জানমাল রক্ষায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।

দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন। যেখানে বসবাস করে ১০ হাজারের বেশি মানুষ। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে শঙ্কিত এই দ্বীপের বাসিন্দারা।

দ্বীপের বাসিন্দা আব্দুল মালেক বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আতঙ্কে দ্বীপের মানুষ নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। আর মঙ্গলবার (২৫ মে) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টি বয়ে যাচ্ছে। তার চেয়ে বেশি আঘাত হানছে প্রবল জোয়ারের পানি। জোয়ারের পানিতে দ্বীপের পাড়ের গাছপালা উপড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া ভাঙছে রাস্তাঘাট। আমার মতো দ্বীপের সব বাসিন্দা ভয়ে আছেন।’ 

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, দ্বীপের লোকজনকে সরিয়ে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। যদি সংকেত ৪ নম্বর দেয়, তখন মাইকিং করে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। তবে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দ্বীপের উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকের অংশে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে গেছে। রাস্তাঘাট ভাঙছে। আর প্রবল জোয়ারের পানিতে বালিয়াড়িতে থাকা পাঁচটি ট্রলার ভেঙে গেছে। জেটির পল্টুন বিধ্বস্ত হয়েছে। নানা অংশ ভেঙে পড়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আঘাত হানার আশঙ্কায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছে কোস্টগার্ড।

কোস্টগার্ড সেন্টমার্টিন স্টেশনের ইনচার্জ লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাসেল মিয়া বলেন, দ্বীপে সব মিলিয়ে বাসিন্দা রয়েছে ১০ হাজার ২৬ জন। দ্বীপের হোটেল, রিসোর্ট, স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন মিলে ৩০টি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। যেখানে ৬ হাজার মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। 

লে. কমান্ডার রাসেল মিয়া বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে প্রবল জোয়ারের পানিতে জেটির পল্টুন কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর ট্রলার চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। টেকনাফে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে ৫০টি অধিক ট্রলার। ছোট ট্রলার, নৌকা ও স্পিডবোটগুলো দ্বীপের উপকূলে নোঙর করে রাখা হয়েছে। সবার সমন্বয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস মোকাবিলা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।  

আর সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূর আহমদ বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের একটি টিম, রেডক্রিসেন্টের লোকজন ও দ্বীপে দায়িত্ব থাকা বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। অবস্থা খারাপ হলে প্রয়োজনে দ্বীপের সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে। 

রুবেল/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়