ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

শিক্ষিকাকে মারধরের তদন্ত দাবি দপ্তরীর পরিবারের 

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২০:৩৪, ৩০ মে ২০২১  
শিক্ষিকাকে মারধরের তদন্ত দাবি দপ্তরীর পরিবারের 

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় স্কুলশিক্ষিকাকে মারধরের ঘটনার সঠিক তদন্ত করে দপ্তরী রাকিব খানকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি করেছে তার পরিবার। তাদের দাবি, মারধরের ঘটনা মিথ্যা, বানোয়াট। রাকিব খান ও তার পরিবারের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ থেকে পরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা সাজান শিক্ষিকা নীলুফা খানম। 

রোববার (৩০ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি করেন তারা। 

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুর ২টার দিকে বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীলুফা খানমকে তাকে মারধর করার অভিযোগ করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার (২৮ মে) দুপুর ২টায় নীলুফা খানম বাদী হয়ে দপ্তরী মো. রকিব খান ও বড় ভাই নাদিম খানকে আসামি করে মামলা করেন। এর আগে ওই দিন ভোররাতে বটতলা থেকে রাকিব খানকে আটক করে পুলিশ। ওই দিন সন্ধ্যার পর আদালতের নির্দেশে রাকিব খানকে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় রাকিব খানকে তার চুক্তিভিক্তিক চাকরি থেকে বরখাস্ত করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রাকিব খানের ভাই নাদিম খান বলেন, ‘বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নীলুফা খানম সম্পর্কে আমাদের চাচাত বোন। নীলুফা খানমকে মারধরের ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া ও বানোয়াট।’ 

নাদিম খান দাবি করেন, ‘আমাদের বাবা আলাল উদ্দিন মারা যাওয়ার পর থেকে রাকিবের সম্পত্তিতে চোখ পড়ে নীলুফা খানমের। পরিবারের সম্পত্তির ভাগ-ভাটোয়ারা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। বিষয়টি স্থানীয়রাও অবগত রয়েছেন।’

নাদিম খান বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুর ১২টার দিকে স্কুল বন্ধ করে বাড়িতে আসার ২ ঘণ্টা পর পূর্বের জেরে রাকিব এবং নীলুফার মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে এই ঘটনা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে নীলুফা খানম স্কুল পরিষ্কার করার কথা বলায় রেগে দপ্তরী রাকিব খান তাকে মারপিট করেছে বলে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন। নীলুফা খানমের পরিকল্পনায় রাকিব খান ও আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়। গ্রেপ্তার এবং চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় রাকিব খানকে।’ ঘটনার সঠিক তদন্ত না করে রাকিব খানকে চাকরিচ্যুত করা হয় বলেও অভিযোগ তার।

এক প্রশ্নের উত্তরে নাদিম খান বলেন, ‘স্কুলে মারধরের ঘটনা ঘটেনি। দুপুর ১২টার দিকে স্কুল বন্ধ করে বাড়িতে আসার ২ ঘণ্টা পর পূর্বের জেরে রাকিব খান এবং নীলুফার মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। মারধরের ঘটনা ঘটেনি।’

এ বিষয়ে বারইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নীলুফা খানমের সঙ্গে যোগাযোগ করা তাকে মারধর করা হয়েছে দাবি করে লাইন কেটে দেন। এরপর ফোন দিলে তার নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। 

এ বিষয়ে গফরগাঁও প্রাথমিক সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সবুজ মিয়া বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পাওয়ার পর মো. রাকিব খানকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ যদি কেউ তদন্তের দাবি করেন, তাহলে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে আবেদন করার কথাও বলেন তিনি।
 

মিলন/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়