ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

করোনায় আক্রান্ত মা ও নবজাতকের মৃত্যু

কুমিল্লা সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:১১, ৩১ মে ২০২১   আপডেট: ২৩:৩৬, ৩১ মে ২০২১
করোনায় আক্রান্ত মা ও নবজাতকের মৃত্যু

কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের হরিশাপুরা গ্রামের সোহেল পাটোয়ারীর স্ত্রী ফারজানা আক্তার (২৭)। সম্প্রতি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি। ফারজানা ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। এরই মধ্যে শরীরে করোনার প্রভাবে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

গত ১৭ মে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আঙিনায় স্থাপিত করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফারজানাকে। অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে করোনা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করেন। এরই মধ্যে রোববার (৩০) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ছেলে সন্তান প্রসব করেন তিনি। তবে সন্তান জন্মের ১২ ঘণ্টার মধ্যে সব যেন শেষ হয়ে গেল পরিবারটির। এই সময়ের মধ্যে মা ও নবজাতক মারা যায়। 

করোনা হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার (৩১ মে) ভোর ৫টার দিকে আইসিইউ ইউনিটে মারা যায় ফারজানা। এর এক ঘণ্টা পরে সকাল ৬টার দিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে মারা যায় নবজাতক। মা ও নবজাতকের এমন মৃত্যুতে শুধু পরিবার নয়, হাসপাতালের চিকিৎসকদের মধ্যেও শোকের ছায়া নেমে আসে।

সোমবার বিকেলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের করোনা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আসিফ ইকবাল জানান, ফারজানা যে সন্তান প্রসব করেন সেটি ছিল ২৪ সপ্তাহের (প্রায় ৬ মাস)। ওই নবজাতকের ওজন ছিল মাত্র ৭৫০ গ্রাম। মেডিকেলের ভাষায় এ ধরনের শিশুকে প্রিম্যাচিউর বেবি বলা হয়। এ ধরনের শিশুকে সাধারণত বাঁচানো সম্ভব হয় না। সন্তান প্রসবের পর দ্রুত নবজাতকটিকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ও নবজাতক ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।

ডা. আসিফ ইকবাল আরও জানান, করোনায় আক্রান্ত ফারজানার অবস্থা আগে থেকে মুমূর্ষু ছিল। যার কারণে তাকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মা ও নবজাতককে বাঁচানো যায়নি।

সকালে পরিবারের সদস্যদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ডা. আসিফ ইকবাল।
 

রহমান/বকুল

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়