ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

দুর্বৃত্তের বিষে মরলো পুকুর ভরা মাছ

সাভার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৮:২৫, ৭ জুন ২০২১   আপডেট: ১৮:৩০, ৭ জুন ২০২১
দুর্বৃত্তের বিষে মরলো পুকুর ভরা মাছ

সাভারের আশুলিয়ায় রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষে প্রায় ১০ লাখ টাকার মাছ মরে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন এক তরুণ খামারি।

সোমবার (৭ জুন) খামারি রাসেল খান এ অভিযোগ করেন। এর আগে ভোর থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত আশুলিয়ার মোজার মিল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন দুটি পুকুর থেকে বিপুল সংখ্যাক মরে যাওয়া পাঙ্গাস মাছ সংগ্রহ করেন রাসেল ও তার কর্মীরা।

ভুক্তভোগী খামারি রাসেল খান বলেন, ‘পুকুরটা তো আমার বাসাত থাইকা অনেক দূরে। মোজার মিল স্ট্যান্ডের লগেই এক বিঘার মতন পুকুরটা। একটার মইদ্দে ১২ হাজার আর আরেকটার মইদ্দে ৬ হাজার পাঙ্গাস আছিলো। একেকটা পাঙ্গাস এক-দেড় কেজি ওজন হইছিলো। এখন বাজারে নিম্নে ৮০ টাকা কেজি পাঙ্গাস বিক্রি হয়। সেই হিসাবে আমার ৮-১০ লাখ টাকার ক্ষতি হইছে।’

‘মনে হয় রাত ৩টার দিকে বিষটা দিছে।  সকালে যখন খাবার দিতাছি তখন মাছ নড়ে না। পরে লোক নামাইয়া দেহি যে, পানির নিচে সব মাছ মইরা পইড়া গেছে। প্রায় ৮০-৯০ মণ মাছ উঠাইছি।’

কেন বা কারা এমন কাজ করলো- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি মাছ চাষ করি প্রায় ৮ বছর ধরে। আর ট্রেড লাইসেন্স করছি তিন বছর ধইরা। অহন অনেক শত্রু  আছে না ভাই।  আরও প্রায় ৮-৯ মাস আগেও এরকম ২০ লাখ টাকার মতন মাছ মাইরা ফালাইছিলো।’

ক্ষতি পুষিয়ে ওঠা সম্ভব কি না প্রশ্নে খামারি রাসেল বলেন, ‘গেল বন্যায় এমনি আমি অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হইছি।  ইপিজেডের বিষাক্ত পানি ঢুইকা আমার এক পুকুরের প্রায় এক কোটি টাকার মাছ মইরা গেছিলো। অনেক ঋণ হয়ে গেছি। আবার এই মাছগুলা মাইরা ফালাইলো আরো ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে গেলাম।’ 

থানায় অভিযোগ করেছেন কি না জানতে চাইলে রাসেল বলেন, ‘যামু ক্যামনে? এখনো তো এই জাগায়তো আছি। মরা মাছ পুকুর থাইকা তুইলা সরায় ফেলতাছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার উপজেলা সিনিয়ার মৎস কর্মকর্তা কামরুল হাসান সরকার বলেন, ‘এখন প্রথম করণীয় হচ্ছে, উনি (রাসলে) যদি কাউকে সন্দেহ করে যে সে বিষ দিয়েছে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারবেন।  সেক্ষেত্রে অবশ্যই সুস্পষ্ট কারণ দেখাতে হবে। এজন্য আমরা তাকে সহযোগিতা করবো।’

ওই খামারিকে আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে বলেন, ‘করোনাকালীন সময়ে খামারি বা কৃষককে প্রণোদনা কিংবা অনুদান দেওয়া হবে এমন নির্দেশনা আমরা পাইনি। সরকারি ব্যাংক ছাড়াও বেসরকারি ব্যাংকেও প্রধানমন্ত্রীর একটা ফান্ড কৃষি ক্ষাতের জন্য দেওয়া আছে। সেক্ষেত্রে খামারি বা চাষীকে সার্টিফাই করে তারা লোন দিবে।  যেহেতু তিনি ক্ষতিগ্রস্ত, তাই আমরা তাকে চাষী হিসেবে বা তরুণ সফল উদ্যোক্তা হিসেবে সার্টিফাই করে দেবো।’ 

সাব্বির/সাইফ

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়