ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

টঙ্গীর ধ্বংসস্তূপ ঘিরে সব হারানো মানুষের বিলাপ

গাজীপুর সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২৮, ১২ জুন ২০২১   আপডেট: ১৪:৪৮, ১২ জুন ২০২১
টঙ্গীর ধ্বংসস্তূপ ঘিরে সব হারানো মানুষের বিলাপ

‘অন আঁই কিত্তাম’ আগুনে পোড়া ধ্বংসস্তুপের পাশে দাঁড়িয়ে বিলাপ করছিলেন খোদেজা আক্তার (৫০)।  আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে তার তিলে তিলে গড়ে তোলা সংসারের সব আসবাবপত্র, এমনকি কাপড় চোপড়ও।

টঙ্গী মিলগেট এলাকায় চুড়ি ফ্যাক্টরির পাশের বস্তিতে আগুনে পুড়ে গেছে অন্তত ৩০০ ঘর। খোদেজার মতো এমন আরো শত শত পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে। আগুনে তাদের সবকিছুই ছাই হয়ে হয়ে গেছে। আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে বস্তির শিক্ষার্থীদের বইপত্রসহ আনুষাঙ্গিক সবকিছু।

বস্তির আগুন পোড়া ধ্বংসস্তুপ থেকে কি যেন খুঁজছেন রেহানা খাতুন (৩৭)। কাছে গিয়ে দেখলাম সেলাই মেশিনের পোড়া অংশ বের করছেন। আর তাকে সহযোগিতা করছে দশম শ্রেণিতে পড়া তার মেয়ে হাফসা খাতুন। রেহানা চিৎকার করে বলছেন, আমাদের সবকিছু শেষ হয়ে গেল অথচ কেউ সহযোগিতার হাত বাড়ালো না। ভোটের সময় সবাই আসে বস্তির ঘরের মধ্যে, অভাবের সময় কেউ আসেনা।

মো. ইয়াছিনের ছোট্ট ছেলে মন্ডল (৬)। আগুনে পোড়া কয়লার মধ্যে থেকে লাঠি দিয়ে খুঁজছিল তার ঘোড়ার  গাড়ি। বাবা ইয়াছিন বললেন, গতকাল একটি ধারাপাত বই ও ঘোড়ার গাড়ি কিনে দিয়েছিলাম।  রাতে পড়েছে ও গাড়ি নিয়ে খেলেছে। এখন পুড়ে যাওয়ায় বই আর ঘোড়ার গাড়ির জন্য কান্না করছে।

প্রসঙ্গত, টঙ্গী মিলগেট এলাকায় চুড়ি ফ্যাক্টরির পাশের বস্তিতে শনিবার রাত ৩ টার দিকে আগুন লাগে।  আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট সকাল পর্যন্ত কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও ওই বস্তির সব ঘরবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ৫৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. আবুল হাসেম বলেন, বস্তিতে প্রায় ৩০০ ঘর ছিলো, সবই পুড়ে গেছে। তাদের পড়নের কাপড় ও খাবার কিছুই নেই। তাদের জন্য খাবার রান্না শুরু হয়েছে, বিকেলের মধ্যে তাদের পোশাকের ব্যবস্থাও করে দিবো।

রেজাউল করিম/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়