ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

চট্টগ্রামে আনসার আল ইসলামের আইটি বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:২১, ১২ জুন ২০২১   আপডেট: ১৬:২৩, ১২ জুন ২০২১
চট্টগ্রামে আনসার আল ইসলামের আইটি বিশেষজ্ঞ গ্রেপ্তার

নিষিদ্ধ জঙ্গী সংগঠন আনসার আল ইসলামের আইটি বিশেষজ্ঞ শাখাওয়াত আলী প্রকাশ লালুকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট। 

শনিবার (১২ জুন) দুপুরে কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পক্ষ থেকে গ্রেপ্তারের এই তথ্য জানানো হয়। 

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহ মোহাম্মদ আবদুর রউফ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সিএমপির খুলশী থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে নিষিদ্ধ ঘোষিত আনসার আল ইসলামের আইটি বিশেষজ্ঞ মো. শাখাওয়াত আলী ওরফে লালুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

পুলিশ জানায়, লালু বাংলাদেশের অখণ্ডতা, সংহতি, জননিরাপত্তা বিঘ্ন, বাংলাদেশেকে অস্থিতিশীল, অকার্যকর ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার উদ্দেশ্যে ধর্মীয় উগ্রবাদী মতাদর্শ প্রচারের মাধ্যমে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মারাত্মক অবনতি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটানোর উদ্দেশ্যে বিভিন্ন পরিকল্পনা, প্রশিক্ষণ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মাধ‌্যমে প্রচারের কাজে নিয়োজিত ছিল।

পুলিশ আরও জানায়, মো. শাখাওয়াত আলী লালু ২০১২ সাল থেকে তার ভায়রা ভাই আরিফ এবং মামুনের অনুপ্রেরণায় জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়। তাদের সংগঠনের নেতা মোয়াজসহ (চাকুরিচ্যুত মেজর জিয়া) মনসুরাবাদ এলাকার হুজুর শফিক, চট্টগ্রাম লালখান বাজার এলাকার এসির দোকানে কর্মচারী ওমর ফারুকদের সহায়তায় দেশের বিভিন্ন স্থানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম-এর সদস্যদের সংগঠিত করার লক্ষ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। 

লালু বিভিন্ন ইলেকট্রনিক বিন্যাসে নানা ধরনের জিহাদি কার্যক্রম প্রচারের কাজে আইটি বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োজিত ছিল। পরবর্তীতে সে জিহাদে অংশগ্রহণ করার জন্য বাংলাদেশ হতে ২০১৭ সালে তুরস্ক যায়। তুরস্ক হতে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়াতে প্রবেশ করে দীর্ঘ ৬ মাস ‘হায়াত তাহরীর আরশাম’ এর নিকট হতে ভারি অস্ত্রশস্ত্রের প্রশিক্ষণ নিয়ে সিরিয়ার ‘ইদলিব’ এলাকায় যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। 

পরবর্তীতে সে সিরিয়া হতে অবৈধ পথে সীমান্ত অতিক্রম করে তুরস্কে হয়ে ইন্দোনেশিয়ায় প্রবেশ করে। এর পর ইন্দোনেশিয়া হতে শ্রীলংকা হয়ে পুনঃরায় ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে বসবাস করে। ইন্দোনেশিয়ায় বসবাসকালীন সময়ে সে জিহাদী কার্যক্রম পরিচালনা করে।

সর্বশেষ গত ২২ মার্চ বাংলাদেশে ফিরে পুনরায় জিহাদী কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। তার কাছ থেকে বিভিন্ন জিহাদি কাগজপত্র, পাসপোর্ট, মোবাইল ফোন, ট্যাব, মিনি নোটবুক উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে খুলশী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রেজাউল করিম/সনি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়