ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

চাঁপাইনবাবগঞ্জে অ্যান্টিজেন টেস্টে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৫, ১৫ জুন ২০২১   আপডেট: ১৪:৩৪, ১৫ জুন ২০২১
চাঁপাইনবাবগঞ্জে অ্যান্টিজেন টেস্টে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষরা নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে বিনামূল্যে এ টেস্ট করাচ্ছেন।  

মঙ্গলবার (১৫ জুন) জেলার শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে এমনই চিত্র দেখা যায়।

একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন সেফাউর রহমান। তার শারিরীক কোনো সমস্যা নেই, নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিতে এসেছেন।

তিনি বলেন, আমার পরিবারে ৫ জন সদস্য আছে। তাদের কথা ভেবে সবসময় আমি নিজেকে সুরক্ষিত রাখছি। বাড়ির সদস্যদেরকেও স্বাস্হ্যবিধি মানতে বলছি। তারা সবাই ভালো আছেন।

শিবগঞ্জ পৌর এলাকার খান পাড়া (সেলমাবাদ) এলাকার শায়েমা বেগম। তিনিও স্বেচ্ছা নমুনা দিতে এসেছেন। তিনি বলেন, বেশ কয়েকদিন থেকে আমি শরীর ও মাথা ব্যথায় ভূগছিলাম। আমার পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে নমুনা দিতে এসেছি। আমার বিশ্বাস আমি করোনায় আক্রান্ত নই।  

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গোমস্তাপুরে হঠাৎ করে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ১৭ এপ্রিল অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু হয়। নাচোল উপজেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ২৬ এপ্রিল অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু হয়। এভাবে পুরো জেলায় করোনার সংক্রমণের হার বেড়ে গেলে ১ মে থেকে পুরোদমে নাটোরের ৫ উপজেলায় এ টেস্ট চালু করা হয়।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৭৫৬, শিবগঞ্জ উপজেলায় ৭৪৫, গোমস্তাপুর উপজেলায় ১৪৬, নাচোল উপজেলায় ৪৬৭ ও ভোলাহাট উপজেলায় ৪২০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। জেলায় মোট ‌র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হয় ৫ হাজার ৪৩৪ জন। এ টেস্টে নমুনা পরীক্ষা করে মোট ৬৬৬ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, দ্বিতীয় করোনার ঢেউয়ে জেলায় করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় পহেলা মে থেকে অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু করা হয়। এর আগে চালু থাকলেও সেরকম ভাবে সাড়া পড়েনি।

তিনি বলেন, কোন ব্যক্তির যদি করোনা উপসর্গ থাকে তাহলে তার  নমুনা র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে পরীক্ষা করা হয়। যদি করোনা পজেটিভ আসে, ওই ব্যক্তির নমুনা পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয় না। তাকে আইসোলশানে থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। অন্যদিকে কোন ব্যক্তির যদি নমুনা টেস্ট করে নেগেটিভ ফল আসে, তাহলে ওই ব্যক্তির নমুনা আরটি-পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়।

শিয়াম/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়