ময়মনসিংহে সংর্ঘষের ঘটনায় পুলিশের ২ মামলা

ময়মনসিংহে পুলিশ-ছাত্রদলের সংর্ঘষের ঘটনায় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের নামে দুটি মামলা করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুন) সকালে কোতেয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক মানিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার। তিনি জানান, বিস্ফোরক আইনে এবং পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলা করায় দুটি মামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক আট ছাত্রদল নেতাকর্মীকে এই দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে. ময়মনসিংহে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগ এনে এর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি। 

শুক্রবার (১৮ জুন) সকালে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে উত্তর জেলা বিএনপি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার শম্ভূগঞ্জ এলাকার চরকালিবাড়ীতে ছাত্রদলের এক আলোচনা সভায় পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। এতে ৩৭ জন ছাত্রদল নেতাকর্মী আহত হয়। এরমধ্যে ১৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পাশাপাশি ১০ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে এবং ২৮টি মোটরসাইকেল তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। 

এ সময় হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ জানানো হয়। 

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ্ প্রিন্স। উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান লিটন, উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন তালুকদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু প্রমুখ। 

বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) দুপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চরকালীবাড়ী দাখিল মাদ্রাসার মাঠে ছাত্রদলের আলোচনা সভাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে ছাত্রদলের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইটপাটকেল নিক্ষেপ, গুলিবর্ষণ ও লাঠিচার্জ করা হয়েছে। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩৫ জন। 

আহতদের মধ্যে রয়েছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক ফারুক হোসেন, ওসি ওয়াজেদ আলী, পুলিশ সদস্য চাঁন মিয়াসহ কমপক্ষে ১০ পুলিশ এবং ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাকা মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুর রশিদ হাবিব প্রমুখ।