ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সাভারে কেয়ারটেকার হত্যার রহস্য উদঘাটন 

সাভার প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:০৬, ১৮ জুন ২০২১  
সাভারে কেয়ারটেকার হত্যার রহস্য উদঘাটন 

অভিযুক্ত রিতা বেগম

ঢাকার সাভার উপজেলায় কফিল উদ্দিন নামে কেয়ারটেকারকে হত্যার তিন মাস পর রহস্য উদঘাটনের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় পলাতক ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া রিতা বেগম হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

কেয়ারটেকারের ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়েই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার একই বাড়ির ভাড়াটিয়া রিতা বেগম।

শুক্রবার (১৮ জুন) সন্ধ্যায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ এ সব তথ্য জানান। এর আগে ভোরে আশুলিয়ার জিরাবো এলাকা থেকে পলাতক রিতা বেগমকে গ্রেপ্তারের পর দুপুরে আদালতে পাঠায় পুলিশ। পরে বিকেলে ঢাকা মুখ্য বিচারিক আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান শিকদার আসামির জবানবন্দি শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গ্রেপ্তার রিতা বেগম নওগাঁর সদর উপজেলার চকরামচন্দ্র মহল্লার খাইরুল ইসলামের মেয়ে। নিহত কফিল উদ্দিন (৬০) জামালপুরের ইসলামপুর থানার পাথরশি গ্রামের মৃত মুন্সী শেখের ছেলে। তিনি আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু সড়কের ডা. শাফকাত হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার ছিলেন।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুদীপ কুমার গোপ বলেন, গত ২২ মার্চ আশুলিয়ার বঙ্গবন্ধু রোডের ডা. শাফকাত হোসেনের বাড়ির কেয়ারটেকার কফিল উদ্দিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন না থাকায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়। তবে মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার পর থেকে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া রিতা বেগম পলাতক থাকায় বিষয়টি সন্দেহজনক ছিল। তিন মাস পর অধিকতর তদন্তে ও প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার (১৮ জুন) ভোরে রিতাকে আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেন রিতা। পরে নিহতের স্ত্রী হানুফা বেগম আশুলিয়া থানায় বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করলে ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।

আসামির স্বীকারোক্তির বিষয়ে এসআই সুদীপ বলেন, বিজ্ঞ আদালতে আসামি হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন রিতা বেগম। এই সুবাদে কফিলের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক হয়। মাঝে মধ্যে কফিলের রান্নার কাজেও সাহায্য করতেন রিতা। ঘটনার দিন রাতে রিতা মাছ কেটে ঘরে দিতে গেলে কফিল তাকে কুপ্রস্তাব। এতে রাজি না হলে ধর্ষণচেষ্টা করে কফিল। এ সময় রিতা তার গলাচেপে ধরলে কপিল মেঝেতে পড়ে মারা যায়। আগে থেকে শ্বাসকষ্টের রোগী ছিল কফিল। ঘটনা আড়াল করতে কফিলের হাতে ইনহেলার দিয়ে সকালে বাসা ছেড়ে পালিয়ে যায় রিতা।

সাব্বির/বকুল

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়