ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

পঞ্চগড় পশুহাটে ভারতীয় গরু, করোনার জোরালো আশঙ্কা

পঞ্চগড় প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ১ জুলাই ২০২১   আপডেট: ২১:৫৬, ১ জুলাই ২০২১
পঞ্চগড় পশুহাটে ভারতীয় গরু, করোনার জোরালো আশঙ্কা

কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনেই অঘোষিতভাবে লকডাউনের আওতামুক্ত ছিল পঞ্চগড়ের পশুরহাট। স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই গরু-ছাগলসহ ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড় ছিল জেলা শহরের রাজনগর হাটে। 

আরও পড়ুন: গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

এছাড়া এ পশুরহাটে ভারত থেকে অবৈধ পথে আসা গরুর সংখ্যা ছিলো চোখে পড়ার মত। এতে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) পঞ্চগড় পৌর শহরের পূর্ব জালাসী এলাকার রাজনগর গরুর হাটে গিয়ে এ চিত্র দেখা গেছে।

হাটে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই চলছে হাট কার্যক্রম। অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখেই মাস্ক নেই। কেউ কেউ মাস্ক থুতনিতে নামিয়ে রেখেছেন। দিনব্যাপী কোনো প্রশাসনিক তদারকিও দেখা যায়নি।

জেলার সবচেয়ে বড় পশুরহাট এটি। দীর্ঘদিন থেকে এ হাটসহ আশ পাশের হাটগুলোতে অবৈধ পথে আসা ভারতীয় গরু কেনা বেচা হয়ে আসছে। করোনার উচ্চ ঝুঁকিতেও বন্ধ নেই সীমান্ত দিয়ে আসা ভারতীয় গরু সরবরাহ।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, কঠোর লকডাউনেও পশুরহাটে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কেউই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। ভারতীয় গরু সরবরাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের আনাগোনা ব্যাপক হারে বেড়েছে এখানে। এতে করোনার ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার ব‌্যাপক আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

স্থানীয় আজিজুল ইসলাম, আল আমিন ও খোরশেদ বলেন, ‘এখানে ভারতীয় গরু সরবরাহের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের আনাগোনা ব্যাপক বেড়েছে। এতে করোনার নতুন ধরন ভারতীয় ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়তে পারে।’ 

আবুল হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী জানান, তারা তেঁতুলিয়ার শালবাহান হাট এবং ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও লাহিড়ী হাট থেকে গরু কিনে আনেন।

তিনি বলেন, ‘এই গরুগুলো পারাপার হয়- পঞ্চগড়ের হাড়িভাসা, চাকলাহাট, ভাউলাগঞ্জ, অমরখানা ও তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে। এছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের লাহীরি, বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর দিয়েও আসে।’

জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউন বাস্তবায়নে পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনী তৎপর রয়েছে। মাঠে রয়েছে প্রশাসনের চার জন ম্যাজিস্ট্রেটও। পশুর হাট বন্ধের বিষয়ে কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। তারপরও বিষয়টি দেখতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিজিবিকে আরও কঠোর হতে বলা হবে।’

আবু নাঈম/সনি

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়