ঠাকুরগাঁওয়ে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট 

দেশের উত্তরাঞ্চলের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁও। এখানে দিন দিন বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে হাসপাতালে বেড়ে চলেছে রোগীর চাপ, সেই সঙ্গে বাড়ছে প্রয়োজনীয় ওষুধের চাহিদা।

জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর পাশাপাশি সাধারণ রোগীর চাহিদা অনুযায়ী নাপা, নাপা এক্সট্রা, এইচ প্লাস, নাপা সিরাপ ও জিংক টেবলেটসহ প্যারাসিটামল জাতীয় কয়েকটি ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে।

চাহিদাপত্র নিয়ে দোকানে দোকানে ঘুরেও ওষুধ না পাচ্ছেন রোগী ও স্বজনেরা। চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ না পেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা। অপরদিকে, ওষুধের দোকানিরা তাকিয়ে রয়েছেন ওষুধ কোম্পানির এজেন্টদের দিকে।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কিছু দোকানে ওষুধ পাওয়া গেলেও দ্বিগুণ দামে কিনতে হচ্ছে। আবার অনেক দোকানি বেশি দাম পাওয়ার আশায় কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

পাঁচ বছরের ছেলের জ্বরের জন্য ওষুধ নিতে এসে না পেয়ে হতাশা হয়ে বাড়ি ফেরেন শহরের মইনুল ইসলাম। তার মতো প্রয়োজনীয় জ্বর, সর্দির ওষুধ না পেয়ে দোকানের এক কোনায় চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় মাজেদুর নামে এক ব্যক্তিকে। 

এ বিষয়ে ফার্মেসির মালিকরা জানান, চাহিদার তুলনায় কোম্পানিগুলো ওষুধ সরবরাহ করতে পারছে না। বিশেষ করে নাপা ট্যাবলেট, নাপা সিরাপ, এইচ ট্যাবলেট ও এইচ সিরাপের চাহিদা অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়ে গেছে। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ’প্যারাসিটামল’ গ্রুপের ওষুধ প্রথম সারির প্রায় সব কোম্পানি সরবরাহ করছে না। ফলে এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান জানান, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে নির্ধারিত দামের চেয়ে অর্থাৎ এমআরপির বাইরে ওষুধ বিক্রি করা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। ওষুধের দোকানে গোপনে তদারকি করা হবে। কোনো দোকান কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে এবং বেশিদামে বিক্রির প্রমাণ পেলে তাদের লাইসেন্স বাতিলসহ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।