ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাগেরহাটে করোনা রোগী বাড়ছে, হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা 

বাগেরহাট প্রতিনিধি. || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৬:৫৬, ৪ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১৭:১৪, ৪ জুলাই ২০২১
বাগেরহাটে করোনা রোগী বাড়ছে, হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা 

বাগেরহাটে প্রতিদিন করোনায় শনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত কয়েকদিন ধরে এই সংখ্যা একশতের উপরে রয়েছে। রোববার (০৪ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত জেলার সদর হাসপাতালের ৫০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ভর্তি রয়েছে ৫৬ জন। সংকট নিরসনে খুলনা ও বিভিন্ন উপজেলা থেকে চিকিৎসক ও নার্স আনা হচ্ছে। শনাক্তের হার বিবেচনায় এটিকে সংক্রমণের ‘দ্রুত উর্ধ্বগতি’ হিসেবে দেখছেন সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির।

সিভিল সার্জন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল থেকে রোববার  সকাল পর্যন্ত) বাগেরহাটে ৩৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৫৩ জনের করোনা শনাক্ত পাওয়া গেছে। এতে শনাক্তের হার ৪৬ শতাংশ। এটা খারাপ পরিস্থিতি। পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয়, তাহলে সেবা দেওয়া কঠিন হবে। 

জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৪৬ শতাংশ হলেও সদর উপজেলায় এই হার ৫৪ শতাংশ। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৭৩ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের। সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১ হাজার ৫৪ জন। 

করোনা ইউনিটের জন্য সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট থাকলেও নেই আইসিইউ সুবিধা। আইসিইউ সেবা দিতে না পারায় রোগীদের খুলনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে হস্তান্তর করা হচ্ছে। 

সদর হাসপাতালে ৫০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ১০ জন চিকিৎসক ও ১২ জন নার্স রয়েছে। রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন। জুন মাসে ৭৩ জন করোনা রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন ইউনিটে। প্রতিদিন অন্তত ৪০ জনের বেশি রোগী চিকিৎসাধাীন ছিলেন। জুলাই মাসে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় খুলনা থেকে ৬ জন সেবিকা এবং বিভিন্ন উপজেলা থেকে অতিরিক্ত চারজন চিকিৎসক আনা হয়েছে করোনা ইউনিটের জন্য। এরপরও সকল রোগীর সুচিকিৎসা দিতে পারছেন না তারা।

করোনা ইউনিটে চিকিৎসা নেওয়া একজন রোগীর স্বজন মাসুদ হাসান বলেন, হাসপাতালের চিকিৎসকরা আন্তরিক। তবে নানা সংকটে রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। 

বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, গত কিছু দিন ধরে করোনা রোগী বেড়েছে। রোগী বেড়ে যাওয়ায় ৫০ শয্যার ইউনিটকে ৭০ শয্যায় রুপান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ২০টি অক্সিজেন সিলিন্ডারও আনা হয়েছে। আইসিইউ চালুর জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্সকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানান সিভিল সার্জন।  

ডা. কে এম হুমায়ুন কবির আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণ রোধে সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি যদি আরও খারাপ হয়, তাহলে সেবা দেওয়া আমাদের পক্ষে অনেক কঠিন হবে।’

এই অবস্থায় সাধারণ মানুষকে আরও বেশি সচেতন হওয়া ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান তিনি।
 

টুটুল/বকুল 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়