ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

পঞ্চগড় হাসপাতালে আইসিইউ নেই, যেতে হচ্ছে দিনাজপুর

পঞ্চগড় সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:১৮, ৫ জুলাই ২০২১   আপডেট: ০৯:২০, ৫ জুলাই ২০২১
পঞ্চগড় হাসপাতালে আইসিইউ নেই, যেতে হচ্ছে দিনাজপুর

পঞ্চগড়ে বেড়েই চলছে করোনা সংক্রমণের হার। অথচ চিকিৎসা সেবা চলছে নিদারুণ সঙ্কটে। জেলার একমাত্র আধুনিক সদর হাসপাতালটিতে অক্সিজেন প্লানটেশন ও আইসিইউ সুবিধা না থাকায় রোগিদের যেতে হচ্ছে দিনাজপুর অথবা রংপুরে। এতে অতিরিক্ত ব্যয়ের পাশাপাশি ভোগান্তিও পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোভিড ভাইরাস ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়লেই রোগীদের বাইরে পাঠানো হচ্ছে। এতে আক্রান্ত রোগীদের অতিরিক্ত ব্যয়ের পাশাপাশি বাড়ছে পারিবারিক দুশ্চিন্তা। এছাড়া চিকিৎসার জন্য বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয়ের কারণে অনেকেই হতাশ হয়ে পড়ছেন।

আটোয়ারী উপজেলার কাটালী গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত মাসের শেষের দিকে করোনা টেস্টে তিনি পজিটিভ চিহ্নিত হয়ে পঞ্চগড় সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হন। ফুসফুসে আক্রান্ত হলে আইসিইউ না থাকার কারণে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে দিনাজপুরে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন।

মোস্তফিজুর বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ঝুঁকি নিতে চাননা। আর দিনাজপুরে চিকিৎসা নেওয়ার কারণে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় হয়েছে। পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে আইসিইউ থাকলে এতোটাকা ব্যয় হতোনা।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই জেলায় এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪৫৮ জন। এর মধ্যে শুধু জুন এবং চলমান জুলাই মাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮৬ জন। দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু সংখ্যা ৬ জন। দেশে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্তের পর এই জেলায় প্রথম ঢেউয়ে আক্রান্ত হন ৭৭৯ জন। এদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেন ২০ জন। বর্তমানে ৩০৮ জন করোনা রোগী আইসোলেশনে রয়েছেন। হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৮ জন। চিকিৎসা সেবা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯৭ জন।

জানা গেছে, বর্তমানে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৬০ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এদের মধ্যে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। আইসিইউ এবং পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ না থাকায় জটিল আকার ধারণ করা রোগীদের পাঠানো হচ্ছে রংপুর অথবা দিনাজপুর।

সিভিল সার্জন ডা. ফজলুর রহমান জানান, আইসিইউ নির্মাণ অনেক সময়ের ব্যাপার। তাছাড়া করোনারোগীর প্রধান সমস্যা অক্সিজেন। অক্সিজেন সমস্যা সমাধানের জন্য ইতোমধ্যে একটি সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান বসানো হচ্ছে। আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে এই প্লান্ট এর কাজ শেষ হবে। অক্সিজেন প্লান্ট বসানো হলে ৬ থেকে ১০ হাজার লিটার অক্সিজেন কন্টেইনার বসানো হবে। এতে ২০ জন রোগীকে অক্সিজেন সেবা দেওয়া যাবে ।

আবু নাঈম/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়