ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

গাছে গাছে লটকন, বিক্রি নিয়ে শঙ্কা

  রফিক সরকার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৪৪, ৮ জুলাই ২০২১  
গাছে গাছে লটকন, বিক্রি নিয়ে শঙ্কা

গতবারের তুলনায় গাজীপুরে এবার লটকনের আবাদ কম হয়েছে

থোকায় থোকায় ঝুলে আছে টক-মিষ্টি স্বাদের লটকন। ভিটামিন সি’তে ভরা এ ফল পেতে পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা। বাজারজাতকরণের আগ মূর্হুতে গাছে গাছে ঘণ্টা বাজিয়ে পোকামাকড় থেকে রক্ষা করা হচ্ছে। তবে লকডাউনের কারণে মৌসুমী এ ফল বিক্রি করা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ব‌্যবসায়ীরা। 

এবার অনাবৃষ্টি আর ছত্রাকের আক্রমণে গতবারের তুলনায় গাজীপুরে লটকনের আবাদ কম হয়েছে। তবে গতবার স্থানীয় ব্যাপারীদের কাছে পুরো বাগান বিক্রি করে দেওয়ায় খুশি ছিলেন লটকন চাষিরা। এবার করোনার কারণে চলমান লকডাউনে তারা আগের মতো লটকন বিক্রি করতে পারছেন না।

উপজেলার নাগরী ইউনিয়নের বাইমাকান্দা গ্রামের লটকন চাষি মুনসুর আলী বলেন, ‘গত বছরের তুলনায় এবার আবহাওয়া বেশ গরম থাকায় ফলন কম হয়েছে। আমার তিনটা লকটন বাগান আছে। এবার ব্যাপারীদের কাছে প্রায় পৌনে ৪ লাখ টাকায় বাগানগুলো বিক্রি করেছি।’  তবে তিনি বাজার মূল্যে খুশি হলেও বাগান কিনে নেওয়া ব্যাপারীরা বর্তমান পরিস্থিতির কারণে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

একই ইউনিয়নের নগরবেলা গ্রামের ফল ব্যাপারী আয়াত উল্লাহ জানান, গত বছর লটকনের ব্যবসা করে বেশ লাভবান হয়েছিলেন। গত বছরের চাহিদার কারণে এবার বেশি বাগান কিনেছেন তিনি। কিন্তু লকডাউনে মানুষের চলাচল না থাকায় বিক্রি ভালো হচ্ছে না।

একই গ্রামের আরেক ফল ব্যাপারী মোক্তার হোসেন জানান, স্থানীয় চাষিদের কাছ থেকে বিভিন্ন মৌসুমি ফল ক্রয় করে থাকেন। প্রতি বছরই তিনি লাভ করেন। সেই আশায় এবার তিনি প্রায় ৩ লাখ টাকার লটকন বাগান কিনেছেন। তবে দেশের এই পরিস্থিতিতে লাভ তো দূরের কথা আসল নিয়ে তিনি সঙ্কায়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ ফারজানা তাসলিম বলেন, ‘উৎপাদিত লটকন স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে। তবে ক্রেতার অভাবে লটকন বিক্রি হচ্ছে না এমন অভিযোগ আমরা পাইনি। লকডাউনেও কৃষিপণ্য বিক্রির অনুমতি রয়েছে। তবে লটকন বাগানের কয়েকজন মালিক যদি আশপাশের বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে চান, সেক্ষেত্রে অনুমতি দেওয়া হবে। যাতে লটকন বিক্রি করতে তাদের সমস্যায় পড়তে না হয়। লকডাউনে এমনিতেই জনসমাগম কম। তাই ছোট বাজারে ক্রেতা কম থাকায় লটকন বিক্রি কম হতে পারে।’

তিনি আরও জানান, গত বছর ৩ হেক্টর জমিতে ৫ টন লটকন আবাধ হয়েছিল। এবার উপজেলার নাগরী ইউনিয়নে লটকন চাষ বেশি হলেও জাঙ্গালীয়া ইউনিয়নের কিছু কিছু জায়গায় লটকন চাষ হচ্ছে। স্থানীয় বাজারে লটকন আকারভেদে প্রতিকেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।

গাজীপুর/ইভা 

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়