শিমুলিয়া ঘাটে চলছে ১০ ফেরি, বেড়েছে যান ও যাত্রী সংখ্যা
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটের চিত্র
করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত লকডাউনেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে ১০টি ফেরি চলাচল করছে।
এছাড়া, এই নৌরুট দিয়ে যানবাহন চলাচলের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে যাত্রীর চাপ। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও ছোট ছোট যানে ও পায়ে হেঁটে যাত্রীরা ঘাটে পৌঁছে পদ্মা পাড়ি দিয়ে দক্ষিণবঙ্গের উদ্দেশ্যে গন্তব্যে যাচ্ছেন।
শুক্রবার (৯ জুলাই) সকাল থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট উপেক্ষা করে যাত্রীসহ শত শত প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলকে ঘাটে আসতে দেখা গেছে। অন্যদিকে জরুরি পরিষেবার অ্যাম্বুলেন্স, পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও পিকআপের সংখ্যাও বেড়েছে শিমুলিয়া ঘাটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরশনের (বিআইডব্লিউটিসি) সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. মাহবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মো. মাহবুবুর রহমান জানান, সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৬টি ফেরির মধ্যে বর্তমানে ১০টি ফেরি সচল রয়েছে। এর মধ্যে রো রো ৪টা, ডাম্প ২টা, মিডিয়াম ২টা ও ঠেলা ২টাসহ মোট ১০টি ফেরি চলছে। বাকি ৬টি ফেরি উভয় ঘাটে নোঙ্গর করে রাখা আছে। প্রয়োজনে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো অথবা কমানো হবে। ঘাটে নদী পারের অপেক্ষায় পন্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য ছোট বড় সব মিলিয়ে সাড়ে ৩ শতাধিক যানবাহন রয়েছে। পায়ে হাঁটা যাত্রীদেরও ভিড় করতে দেখা গেছে। তাদের মধ্যে স্বাস্থবিধি মানার কোনো বালাই নাই।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (টিআই প্রশাসন) মো. জাকির হোসেন জানান, ঢাকা ও আশেপাশের জেলা থেকে দীর্ঘ মহাসড়ক পেরিয়ে যখন প্রাইভেট কারসহ অন্যান্য ছোট গাড়ি ঘাটে চলে আসে তখন সেগুলো ফেরিতে পার না করে পারা যায় না। চলমান লকডাউনকে কেন্দ্র করে শিমুলিয়া ঘাটসহ জেলার বিভিন্ন প্রবেশ পথগুলোতে আজও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট রয়েছে। পণ্যবাহী ও জরুরি গাড়ি ব্যাতিত অন্যান্য গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে রাজধানী থেকে সিএনজি, মোটর সাইকেল ও ব্যাক্তিগত গাড়ি যোগে যাত্রীরা শিমুলিয়া ঘাটে এসে ফেরিতে করে ওপারে যাচ্ছেন। শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় অভ্যন্তরীণ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান-দোকান-পাট বন্ধ রয়েছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের জন্য অপেক্ষায় রয়েছে জরুরি ও পণ্যবাহীসহ সাড়ে ৩ শতাধিক গাড়ি। সিরিয়াল অনুযায়ী সব গাড়ি পার করা হচ্ছে। যাত্রীপারাপারের বিষয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশনা না থাকায় যাত্রীরা ঘাটে এসে ফেরিতে চরে পদ্মা পার হতে পারছেন।
রতন/বুলাকী
আরো পড়ুন