‘কালো পাহাড়ের’ ওজন ৩৫ মণ
আরিফুল ইসলাম সাব্বির || রাইজিংবিডি.কম
সবজি ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়া। নিজ হাতে পরম যত্মে লালন-পালন করে বড় করেছেন কালো রঙের ষাড়টি। শখ করে নাম রাখেন ‘কালো পাহাড়’। ষাড়টির ওজন এখন ৩৫ মণ। উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, লম্বা ৮ ফুটের বেশি।
ঢাকা জেলার ধামরাইয়ের খাগাইল গ্রামে বাড়ি শাহজাহান মিয়ার। শাহজাহান ও তার স্ত্রী-সন্তান চার বছর ধরেই গরুটিকে পালছেন। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে প্রতিদিনই কালো পাহাড়কে দেখতে শাহজাহানের বাড়িতে ভিড় করছেন অনেকে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গরুটি বিক্রি নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় আছেন মালিক।
খাগাইল উত্তরপাড়া এলাকার বাসিন্দা মনির হোসেন বলেন, ‘কালো পাহাড়কে এই প্রথম দেখলাম। মাইনসা যা কইছে তার থাইকা গরুটা অনেক বড়। আমার মনে হয়, গরুটা ৩৫-৪০ মণ হইবো। এরকম গরু মনে হয় পুরা ধামরাই থানায় নাই।’
কুশুরা ইউনিয়ন থেকে ৮ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে গরুটি দেখতে এসেছে ওয়াসিম হোসেন।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে থাইকা বিশাল কালো পাহাড় নামে গরুটা দেখতে আসছি। গরুটা দেখতে অনেক বিশাল। কালো পাহাড় যে নামটা রাখছে দেখতে আসলে ওই রকমই। একজন মানুষের যে উচ্চতা তার চাইতে বেশি এটার উচ্চতা। অনেক মানুষ আসতাছে এটারে দেখতে। আমরাও শখ আছে এরকম একটা গরু পালার।’
কালো পাহাড়ের মালিক শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘এই কুরবানি ঈদ আইলে এটার চার বৎসর বয়স হইয়া আইবো। বাইত্তে নিজের গাভীত থাইকাই এটা হইছিলো। জন্মের সমে ওইটা খুব সুন্দর অইছিলো। ওইসুম কইছি ওইটা অনেকদিন পালুম। আমার বাইত্তে ওই রকম গরু আছিলো না। সুন্দর একটা গরু আছিলো না দেইখাই ওইটা শখ কইরা পালছি। গত বছর গরুটা ৫ লাখ টাকা দাম আইছিলো। পরে কিছু কমে আমি দিয়া দিছিলাম। পানির কারণে আইয়্যা গরুটা নিবার পারলো না। আমার আশাতো শ্যাষ। এহনতো গরুটা বেচন লাগবো। মোটামুটি আমার আশা ১২ লাখ ট্যাকা হলে গরুটা বেচমু। এবছর ওইরকম পার্টি জোর দিয়া আহে নাই।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন ৬০০ ট্যাকার খাওন লাগে। গমের ভুষি, ছোলা, বুট, ঘাস বিভিন্ন ফল-ফলান্তি মিইলা ৬০০ ট্যাকার খাওন লাগে। মাইনসের কাছে হুনি, ট্যাবলেট খাওয়ায়, ইনজেকশন দিয়া মোটাতাজা করণ যায়। হেইটা আমি খাওয়াই নাই। যদি অসুখ হয়, তাইলে এমনে ওষুধ খাওয়াই।’
‘সকাল বেলা ওটারে গোসল না করাইলে খাইবো না। ঘুমেত থাইকা ওঠাই ওইটারে গোসল করান নাগে আগে। গোসল করামু তারপর গিয়া খাইবো। আবারো দিনের বেলা গরুম নাগলে আবোর গোসল করান নাগবো। এই রকম কইরা দিনে ২-৩ বার গোসল করাই।’
সাভার/ইভা
আরো পড়ুন