ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

গরুর হাট বন্ধ, দুশ্চিন্তায় খামারিরা

জয়পুরহাট প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৪, ১১ জুলাই ২০২১  
গরুর হাট বন্ধ, দুশ্চিন্তায় খামারিরা

সীমান্ত জেলা জয়পুরহাটের গরু খামার

করোনা সংক্রমণ রোধে সারাদেশে চলছে লকডাউন। এর মধ্যে এগিয়ে আসছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে সীমান্ত জেলা জয়পুরহাটের খামারিরা গরু পালন করে থাকেন। সারা বছর প্রতিপালন খরচের পর আশায় থাকেন গরু বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার। এবার গরুরহাটগুলো বন্ধ থাকায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা গরু কিনতে আসতে পারছেন না। কোরবানিতে গরু বিক্রি করতে না পারলে বড় ধরনের লোকসানের আশঙ্কা করছেন জেলার খামারিরা।

জেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তদরের তথ্য মতে, কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে জেলায় এবার ১২ হাজার খামারি প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার গরু মোটাতাজা করেছেন। এ বছর জেলাতে কোরবানীর জন্য গরু, মহিষ, ছাগলের চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার। গো-খাদ্য,ওষধ ও বিদ্যুৎসহ অন্যান্য খরচ বেড়ে যাওয়ায় গরু প্রতিপালনে খরচও বেড়েছে বহুগুণ। এর মধ্যে লকডাউনে গোহাটি বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। অনলাইনেও সাড়া মিলছে না ক্রেতাদের। এতে হতাশ হয়ে পড়েছেন জেলার খামারিরা।

সদর উপজেলার পুরানাপৈল এলাকার অরন্য এগ্রো ফার্মের পরিচালক শাদমান আলিফ মিম রায়হান বলেন, ‘গরুর ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে চিন্তায় আছি। আমার খামারে সিদ্ধি শাহীওয়াল, বার্মা দেশী জাতের ১৮ টি গরু রয়েছে। গরুকে প্রতিদিন খাবার হিসেবে খৈল, ভুসি, কুঁড়ো ও কাঁচা ঘাস দিতে হয়। আর যদি এবার বিক্রি না হয়, তাহলে প্রতিদিন যে খরচ হয় তাতে সীমাহীন ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।’

সুমন ডেইরি ফার্মের পরিচালক সুমন মিয়া বলেন, ‘প্রতিবছর কোরবানির হাট শুরু মাস দেড়েক আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যাপারিরা ফার্মে ফার্মে ঘুরে গরু কেনেন। করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার আগ্রহী কোনো ব্যাপারির দেখা নেই। এছাড়া কোরবানির আগ মুহূর্তে জমজমাট হাট বসার সম্ভাবনাও নেই বললেও চলে। এ কারণে গরু বিক্রি করা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। আমি গরুর ছবি ও ভিডিওসহ অনলাইনে বিক্রির জন‌্য দিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাইনি।’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাহফুজার রহমান জানান, এখন কোরবানির ঈদের বেশ কিছুদিন বাকি রয়েছে। এর মধ্যে কোরবানির পশু কেনাবেচা ও পশুহাট খুলে দেওয়া নিয়ে নতুন নির্দেশনা আসতে পারে। করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই গত বছর জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের উদ্যোগে অনলাইনে পশু বেচাকেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এবারও এ পরিস্থিতিতে অনলাইনের মাধ্যমে আরও ব্যাপক আকারে কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের এই কর্মকর্তা।

শামীম/বুলাকী

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়