ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

চাঁপাইনবাবগঞ্জে হঠাৎ নাপা উধাও

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৩২, ১২ জুলাই ২০২১  
চাঁপাইনবাবগঞ্জে হঠাৎ নাপা উধাও

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জুড়ে বাজার থেকে হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে নাপা গ্রুপের সব ধরনের ওষুধ। নাপা, নাপা এক্সট্রা, এক্সটেন্ড ও সিরাপ গত এক সপ্তাহ ধরে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না বলে একাধিক রোগীর স্বজন জানিয়েছেন।

ফার্মেসির মালিকরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে করোনার ভয়াবহ প্রকোপে সাধারণ জ্বর-সর্দি-কাশির ওষুধের চাহিদাও ব্যাপক হারে বাড়ায় বেক্সিমকো কোম্পানির প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ বাড়িতে মজুদ করে রেখেছে মানুষ।

জেলা সিভিল সার্জন বলছেন, নাপা খেতে হবে তা নয়, ভালো মানের অন্য কোম্পানির প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ খেলেই নাপার কাজ করবে।

সোমবার (১২ জুলাই) জেলা শহরের হাসপাতাল রোড, বিশ্বরোড রোড়, বাস স্ট্যান্ড, শিবগঞ্জের মেডিক্যাল মোড়, শিবগঞ্জ বাজার, মনাকষা বাজার, সাহাপাড়া বাজার, নাচোল, গোমস্তাপুর রহনপুর, ভোলাহাটের গুরুত্বপূর্ণের মোড়সহ বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও এ ট্যাবলেট পাওয়া যায়নি।

শহরের বিভিন্ন ফার্মেসিতে নাপা, নাপা এক্সট্রা ও নাপা এক্সট্রেন্ড আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে প্রায় সব দোকানিই বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে নাপা নেই। কোম্পানি সাপ্লাই দিচ্ছে না বলে জানান তারা। অন্যান্য কোম্পানির প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ দোকানে আছে। কোন ফার্মেসিতে নাপা থাকলেও চড়া মূল্যে বিক্রি করছেন বলে জানায় কোনো কোনো ফার্মেসির মালিক।

বিশ্বরোডের এক ফার্মেসির মালিক ফয়সাল জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঈদুল ফিতরের পর করোনা শনাক্তের হার কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়ায় ও লকডাউনের প্রভাবে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মতো জ্বর-সর্দি ও কাশির ওষুধ কিনে মজুদ করছে সাধারণ মানুষ। এ কারণে জেলায় নাপার সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

শিবগঞ্জের এক ওষুধ ব্যবসায়ী বলেন, অনলাইনে করোনার জরুরি ওষুধের মধ্যে নাপার নাম রয়েছে। এ কারণে নাপা মানুষ ব্যাপকহারে কিনে মজুদ করেছেন।

হাসপাতাল রোডের একজন ফার্মেসির মালিক বলেন, নাপা ও অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধ জিম্যাক্সের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। অথচ সাধারণ জ্বরে অ্যান্টিবায়েটিক ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। বর্তমানে করোনার মধ্যে সবাই নিজেদের মত ওষুধ খাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে বেক্সিমো কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জে নয়, গত ১০ দিন ধরে দেশের সব জেলায় নাপার সরবরাহ কম রয়েছে। কোম্পানির কাছে নাপার কাঁচামালের সরবরাহ কম থাকার কারণে ও ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক চাহিদা থাকায় এমন সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান, মানুষের মধ্যে একটি ভ্রান্ত ধারণা- জ্বর হলে শুধু নাপাই খেতে হবে। কিন্তু অন্য কোম্পানিগুলোর যে বিভিন্ন নামে প্যারাসিটামল ওষুধ আছে, সে সম্পর্কে তাদের ধারণা কম। জ্বর হলে চিকিৎসকরা প্যারাসিটামল খেতে বলে, নাপা নয়।

মেহেদী হাসান শিয়াম/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়