ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

না.গঞ্জে কোরবানির পশু কিনতে অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা

হাসান উল রাকিব || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ২২:৩৯, ১৩ জুলাই ২০২১   আপডেট: ২২:১৫, ১৪ জুলাই ২০২১
না.গঞ্জে কোরবানির পশু কিনতে অনলাইনে ঝুঁকছেন ক্রেতারা

নারায়ণগঞ্জে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে করোনার ঝুঁকি এড়াতে অনলাইনে খামার থেকে পশু কেনার দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। এরই মধ্যে খামারিরা অনলাইনে বেচাবিক্রিতে বেশ সাড়াও পেয়েছেন। 

আরও পড়ুন: ২৪১টি ডিজিটাল কোরবানির হাট উদ্বোধন

এবার ঈদে নারায়ণগঞ্জে কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় এক লাখ। জেলায় নিবন্ধিত তিন হাজার ৩০০ ছোট-বড় খামারে প্রায় এক লাখ পনেরো হাজারেরও বেশি দেশি, ক্রস, হলিস্টিন, ফ্রিজিয়ান, শাহিওয়াল, সিন্ধি, ভুট্টি, আমেরিকান ব্রাহমা, জারসি, মিরকাদিমের সাদা বা ধবল গরুসহ বেশ কয়েকটি জাতের ষাঁড় বেচার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। পাশাপাশি উন্নত জাতের ছাগল এবং দুম্বা কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। 

খামারগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। একইসঙ্গে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কম থাকায় ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারছেন খামারিরা। এখন খামারগুলোতে পশু মোটাতাজা করতে কৃত্রিম প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে নিজেদের প্রস্তুত করা কাঁচা ঘাস, দানাদার খাবার, গম, ভুট্টা ও ভূষি খাইয়ে পশু মোটাতাজা করা হচ্ছে। 

এছাড়া খামারে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও স্বাস্থবিধি পালন করায় ক্রেতারা ঝুঁকছেন খামারগুলোতে। এসব খামারে ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা প্রতি কেজি দরে লাইভওয়েটে মাধ্যমে ক্রেতারা পশু কিনতে পারছেন। 

জেলায় ঘনবসতি ও বাসাবাড়িতে কোরবানির পশু রাখার জায়গা কম। একারণে অনলাইনে বা খামারে গিয়ে কেনা গরু খামারগুলোতেই রেখে যাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের কথা চিন্তা করে ঈদের দুই-তিনদিন আগে তাদের বাড়িতে সেসব গরু পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন খামারিরা। এতে ক্রেতারাও খুশি।

সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার মশিউর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘করোনার এ সংক্রমণের সময় খামারগুলো থেকে কোরবানির পশু কিনে নিরাপদ বোধ করছি।’ 

সিদ্ধিরগঞ্জের আর.কে এগ্রো খামারের ম্যানেজার আবদুস সামাদ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘দেশীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাবার উৎপাদন করে কাঁচা ঘাস ও দানাদার খাবার খাইয়ে পশু মোটাতাজা করা হচ্ছে। ওষুধ প্রয়োগ করে পশু মোটাতাজাকরণ পদ্ধতি বাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা ফেসবুক ও ওয়েব পেইজে ক্রেতাদের কাছ থেকে বেশ সাড়াও পাচ্ছি। শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, আশপাশের জেলা থেকেও ক্রেতারা আমাদের খামারে আসছেন।’

এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আখতার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘জেলায় নিবন্ধিত তিন হাজার তিনশ’ ছোট-বড় খামারগুলোতে প্রায় এক লাখ পনেরো হাজারেরও বেশি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। ঈদ মৌসুমে পশুর হাট বসার আগেই খামারগুলোতে অনলাইনে বেচাকেনা শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে খামারিরা পশু বিক্রির ব্যবস্থা করেছেন। ক্রেতারাও খামার থেকেই কিনতে আগ্রহী হচ্ছেন। আমরা এসব বিষয় নিয়মিত তদারকি করছি।’

নারায়ণগঞ্জ/সনি

সম্পর্কিত বিষয়:

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়