ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

পাহাড়ে এখনো পশুর হাট জমে উঠেনি

বিজয় ধর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:২০, ১৬ জুলাই ২০২১   আপডেট: ১০:৪৭, ১৬ জুলাই ২০২১
পাহাড়ে এখনো পশুর হাট জমে উঠেনি

পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে কোরবানির পশুর হাট এখনো তেমন জমে ওঠেনি। রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নদীপথে কোরবানির পশু বিক্রির জন্য স্থানীয় বাজারে নিয়ে আসা হলেও হাটে এখনো ক্রেতা কম। তবে লকডাউন শিথিল হওয়ায় কিছু কিছু ক্রেতা হাটে আসতে শুরু করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাঙামাটি পৌর ট্রাক টার্মিনালে কোরবানির পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, গরুর চেয়েও হাটে ক্রেতা খুবই কম। স্থানীয় পশুর হাট সূত্রে জানা গেছে, রাঙামাটির বাজারগুলোতে রাঙামাটির বরকল, লংগদু, বাঘাইছড়িসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে খামারি এবং বেপারিরা গরু নিয়ে আসেন।

বর্তমানে ছোট সাইজের এক একটি গরু বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার এবং বড় সাইজের গরু বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায়। বিভিন্ন সাইজের গরুর পাশাপাশি এই হাটে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগলও। একেকটি বড় আকারের খাসি বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকায়।

রাঙামাটির লংগদু থেকে রাঙামাটির পশুর হাটে গরু বিক্রয় করতে নিয়ে আসা মোশারফ বলেন, আমি ২০টি গরু নিয়ে আসছি। এখনো একটি গরুও  বিক্রয় করতে পারিনি।  প্রত্যেকটা গরুর পিছনে আমার ১ হাজার টাকা করে খরচ হয়েছে রাঙামাটি আনতে। কিন্তু বাজারে ক্রেতারা গরু দাম কম বলে। আমি এখন চিন্তায় আছি এ গরু বিক্রয় করে মূলধন তুলতে পারবো কিনা।

বাজারে গরু কিনতে আসা মো. মুছা বলেন, করোনার লকডাউনের কারণে এবার লংগদু, মাইনি থেকে গরু কম আসায় গরুর দামটা একটু বেশি। তিনি বলেন, প্রতিটি গরু প্রায় ৫- ১০ হাজার টাকা করে বেশি বলছে বিক্রেতারা।

হাটে আসা ক্রেতা মো. বেলাল বলেন, গতবারের তুলনায় এবার গরুর দাম একটু বেশি।  তবে এখনও বাজারে গরুও আসছে কম। দেখি সামনের বাজারগুলোতে কেমন দামে পাওয়া যায় গরু।

হাটের আরেক বিক্রেতা মো. মিজান বলেন, ২৮টি গরু এনেছি মাইনি থেকে। সবগুলো গরুর দাম পড়েছে প্রায় ১৮ লাখ টাকা। কিন্তু ক্রেতারা বাজারে তেমন আসছে না। আর যারা আসছে তারাও গরুর দাম বলছে কম।  

চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থেকে হাটে গরু কিনতে আসা বেপারি মো. আব্দুল আলীম বলেন, আমি লংগদু থেকে ৪০টি গরু নিয়ে এনেছি। লকডাউনের কারণে এবার গরুর দাম পড়েছে বেশি।  

এই গরু বেপারি আরো বলেন, প্রতিটি ছোট গরু আমার কিনতে হয়েছে প্রায় ৬০-৭০ হাজারে। আর বড় গরু কিনতে হয়েছে ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে।  জানিনা এবার লাভ করতে পারব কিনা।

হাটের ইজারাদার রুহুল আমিন বলেন, করেনার কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর বাজারে গরু কম।  স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে বাজারে এখনো গরুর দাম সহনশীল রয়েছে। আশা করছি সামনের বাজারগুলোতে গরুর বাজার ভাল হবে।

রাঙামাটি জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা বরুণ কুমার দত্ত বলেন, পার্বত্য এলাকায় ঐতিহ্যগতভাবেই বিভিন্ন এলাকা থেকে কোরবানির পশু বেপারিরা পশু সংগ্রহ করে থাকে। নৌপথ এবং সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন এলাকায় এ কোরবানির পশু বাজারজাত করা হয়ে থাকে।  

তিনি বলেন, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ হচ্ছে পাহাড়ের কোরবানির পশু।  করোনা পরিস্থিতির কারণে জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ এবার রাঙামাটিতে অনলাইনে কোরবানির পশু বিক্রির ব্যবস্থা করেছে। ১১ টি ওয়েব পেইজের মাধ্যমে প্রায় ৩ শতাধিক কোরবানি পশু বিক্রি করা হয়েছে।

রাঙামাটি/টিপু

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়