পাটুরিয়ায় ট্রাকচালকদের ভোগান্তি
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি || রাইজিংবিডি.কম
পাটুরিয়া ট্রাক টার্মিনাল
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় বেড়েছে। তবে এ নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করায় ভোগান্তি ছাড়াই তারা পারাপার হচ্ছেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জরুরি যানবাহন, দূরপাল্লার বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি পারাপার করায় সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকচালকেরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
পাটুরিয়া ট্রাক টার্মিনালে চারশো, জিরো পয়েন্ট থেকে আরসিএল মোড় ছাড়িয়ে দুইশো ও উথুলী সংযোগ সড়কে একশো ট্রাক নৌরুট পারের অপেক্ষায় রয়েছে। সকাল থেকে ঘাট এলাকায় দূর পাল্লার কম থাকায় এসব সাধারন পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে। এদিকে ৫ নন্বর ঘাট এলাকায় শতাধিক ছোট গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।
শনিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে পাটুরিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
কুষ্টিয়াগামী যাত্রী তৌহিদুর রহমান বলেন, ‘পরিবার নিয়ে ঈদ করতে বাড়িতে যাচ্ছি। বিগত বছরগুলোতে ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে পাটুরিয়া ঘাট পার হয়েছি। তবে আজকে সহজেই ফেরিতে উঠতে পেরেছি। খুব ভালো লাগছে।’
জোসনা বেগম বলেন, ‘গাজীপুর থেকে সকাল রওনা দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে এসেছি। ঘাট এলাকায় ভোগান্তি ছাড়াই পার হতে পারছি।’
ট্রাক চালক সোনা মিয়া বলেন, ‘গতকাল রাত ১টার দিকে পাটুরিয়া ট্রাক টার্মিনালে এসেছি। সকাল ৯টা বেজে গেলেও নৌরুট পার হতে পারেনি। রাতের দূরপাল্লার বাস বেশি থাকায় আটকে পড়েছি। সকাল থেকে ট্রাক পারাপার শুরু হলেও সিরিয়ালে আটকে আছি।’
আরেক ট্রাকচালক ইকবাল হোসেন বলেন, ‘রাতে ও সকালে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে খাওয়া দাওয়া করেছি। যতক্ষন পার না হতে পারবো ততক্ষণ নিজের পকেটের টাকা খরচ হবে। এটি আমাদের জন্য বড় ভোগান্তি।’
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির জানান, পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ কমাতে উথুলী সংযোগ সড়কে ট্রাকগুলো সিরিয়ালে রাখা হয়েছে। সংযোগ সড়কে একশো ট্রাক পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। ঘাট এলাকায় যানবাহনের চাপ কমলে এসব ট্রাক সিরিয়াল অনুযায়ী ছেড়ে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান জানান, পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় দূরপাল্লার বাসের চাপ নেই। তবে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে। এ নৌরুটে ১৬টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও সাধারন যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
চন্দন/বুলাকী
আরো পড়ুন